শুক্রবার ময়নাগুড়িতে নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তাঁর সেই সফর ঘিরেই বিপত্তি ঘটে। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সময় শুভেন্দু অধিকারী খাটে বসতেই তা ভেঙে যায়। হুড়মুড়িয়ে পড়ে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। আশপাশের লোকেরা পাঁজাকোলা করে তোলেন তাঁকে। সেই সুযোগই কাজে লাগাল রাজ্যের শাসক দল। নির্যাতিতার পরিবারের কাছে ২৪ ঘন্টার কম সময়ে পৌঁছে গেল নতুন খাট।
শনিবার ময়নাগুড়ির ধর্মপূরে নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে নতুন খাট পরিবারের হাতে তুলে দেন জলপাইগুড়ি জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়। এখানেই শেষ নয়। মৃতার ছোট ভাইয়ের লেখাপড়া সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন যুব তৃণমূল নেতৃত্ব।
নির্যাতিতার পরিবারের আর্থিক অবস্থা মোটেই ভালো নয়। এই অবস্থায় মেয়ে হারা পরিবারে খাট ভেঙে যাওয়ায় বিপদ বাড়ে। কিন্তু, নতুন খাটের বন্দোবস্ত হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে তাঁদের।
শনিবার শুভেন্দু অধিকারীকে গোপাল ভাঁড় বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি যুব তৃণমূলের সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, 'এই পরিবার পুলিশের তদন্তে আস্থা প্রকাশ করেছে। তারপরও উনি এসে সিবিআই তদন্তের জন্য উস্কানি দিচ্ছেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ময়নাগুড়িতে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে এক প্রতিবেশী যুবক ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরই আদালত থেকে আগাম জামিন নেয় মূল অভিযুক্ত। পরিবারের অভিযোগ, ১৩ এপ্রিল মূল অভিযুক্তর সঙ্গীরা বাড়িতে এসে প্রাণনাশ ও ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপও দেয় তারা। অএরপরই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে নাবালিকা। তার শরীরের ৬৫ শতাংশই পুড়ে যায়। ২৫ এপ্রিল ভোরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয় নাবালিকার। শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারী নৃতা বাড়িতে গিয়ে সিবিআই তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে জাবি তোলেন। যার পাল্টা বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে মৃত্যু নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ করেছে জোড়া-ফুল শিবির।