করোনার দাপট জারি। তার মধ্যেই বিধি মেনে সারতে হবে ভোটের প্রচার। তাই পথসভা বা পতাকা হাতে এলাকায় ঘুরে ঘুরে মিছিল নয়। প্রচারের কৌশল হিসাবে অভিনব পন্থা বেছে নিয়েছেন চন্দননগরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী অনিমেষ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারে বরাদ্দ অর্থ দিয়ে এখন তিনি এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে জীবাণুমুক্তকরণের কাজ চালাচ্ছেন। এতে একদিকে প্রচার যেমন হচ্ছে, তেমনই জিতলে যে মানুষের পাশে থাকবেন সেই বার্তাও পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে বলে দাবি শাসক দলের এই নেতার।
এখন যেকোনও দিন দুপুরে চন্দননগরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে গেলেই চোখে পড়বে স্যানিটাইজারের জার কাঁধে ছেলেরা বাড়ি বাড়িতে জীবানুমুক্তকরণের কাজ চালাচ্ছেন। আদতে এটা ওই ওয়ার্ডের জোড়া-ফুলের প্রার্থী বিদায়ী কাউন্সিলর অনিমেষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার। টোটোতে দলীয় পতাকা লাগিয়ে 'বাবা'ই নামাঙ্কিত পোশাক গায়ে দলীয় কর্মীরা বাড়ি বাড়ি স্যানিটাইজেশন করছেন।
প্রার্থী অনিমেষের কথায়, 'চার নম্বর ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৩,২০০ জন। বাড়ির সংখ্যা প্রায় ৯০০টি। দলমত নির্বিশেষে প্রত্যেকটা বাড়ি স্যানিটাইজ করা হবে। আমার অনুগামীরা প্রতিদিন দুপুর দু'টো থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত রাস্তা সাফাইয়ের কাজে নেমে পড়ছেন। অত্যুৎসাহী যুবকর্মীরা সব কাজ ফেলে দিয়ে গ্লাভস হাতে পাড়া পরিষ্কার করছেন। ঝাড়ু হাতে রাস্তা পরিষ্কার, নর্দমা সাফ, এগুলোই আমাদের প্রচারের অঙ্গ। আমার ওয়ার্ডের প্রতিটি রাস্তা আমি পরিষ্কার রাখবো। ফের অএকবার এই বার্তাও দিচ্ছি ভোটারদের।'
বিরোধীদের অভিযোগ, বিধিভঙ্গ করে স্যানিটাইজেশনের কথা বলে আদতে ভোটরদের প্রভাবিত করছেন তৃণমূল প্রার্থী নিমেষ বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশ্য তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, 'বাড়ির মালিকের সম্মতি নিয়েই আমরা প্রতিটি বাড়ি স্যানিটাইজ করছি। এখানে বিতর্কের কোনও অবকাশ নেই।'