Advertisment

জানুয়ারির ব্রিগেড সফল করতে ঝড় তোলার লক্ষ্যে তৃণমূল সাইবার সেল

বিজেপির সাইবার সেলকে টেক্কা দিতে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি সেল। এখন সেয়ানে সেয়ানে টক্কর চলছে রাজনীতির নেট সাম্রাজ্যে। ১৯ জানুয়ারির ব্রিগেড সফল করাই লক্ষ্য এখন তৃণমূল সাইবার সেলের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
it cell tmc

ব্রিগেডের জনসভা সফল করতে সোশ্য়াল মিডিয়ায় লাগাতার প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সাইবার সেল।

জানুয়ারির ব্রিগেড সফল করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়় তুলতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি সেল। শনিবার থেকেই কাউন্টডাউন শুরু করে দিয়েছে তারা। "১৯ জানুয়ারি, ২০১৯। ব্রিগেডের কাউন্টডাউন শুরু। আর মাত্র ৭০ দিন। আগামী দিনে দেশের উন্নতিকল্পে ব্রিগেডের মহামঞ্চে বিজেপি সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজবে। আসুন দেশের স্বার্থে এই পরিবর্তনের অঙ্গীকার করি।" এভাবেই প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের ফেসবুক পেজে।

Advertisment

এর আগে মৌলালি যুব কেন্দ্রের সভাকক্ষে প্রথম সভা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সাইবার সেল। এরপর নজরুল মঞ্চে বেশ বড় ধরনের সভা হয়েছিল তৃণমূল যুবর সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। সেখানে ফোন মারফত বক্তব্য রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। সোশ্যাল মিডিয়ায় তথ্য ও যুক্তি দিয়ে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলেছিলেন দলনেত্রী। অভিষেকও সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর বিশেষ জোর দিয়েছিলেন। তারপর জেলা ভিত্তিক নানা জায়গায় কর্মশালাও হয়েছে। এবার দলের সাইবার সেল ব্রিগেডের জনসভাকে সফল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন: ২০১৯ লোকসভাকে সামনে রেখে বিজেপির রথযাত্রা ও কলাবেচা

কী উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি সেল? দলের সাইবার সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্নেল দীপ্তাংশু চোধুরী বলেন, "বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক্স-এর মাধ্যমে প্রচার করা হবে। ইতিমধ্যেই কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। দেশে উন্নয়নের বালাই নেই, অথচ রাম মন্দিরের কথা বলা হচ্ছে। যেন রাম মন্দির ছাড়া কোনও কথা নেই। অন্য দিকে কেন্দ্রীয় নীতির ফলে কৃষকরা আত্মহত্যা করেছে। এমন নানা বিষয়ও তুলে ধরা হচ্ছে।"

শুধু তথ্য তুলে ধরা নয়, অনেক ক্ষেত্রেই রীতিমত শুটিং করে ভিডিও তৈরি করা হচ্ছে। কর্নেল চৌধুরী বলেন, "বেশ কিছু ভিডিও-র শুটিং হয়ে গিয়েছে।দু-তিন দিনের মধ্যেই আমরা ভিডিও প্রকাশ করব। ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক্সে বিভিন্ন জেলার নানা প্রোগ্রামও তুলে ধরা হবে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার সহ সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়াতেই এসব ছড়িয়ে দেওয়া হবে। জেলাগুলোতে ছোট ছোট সেমিনার হচ্ছে। বিভিন্ন কর্মশালা হচ্ছে। ২৩ টি জেলা একযোগে কাজ করছে।"

বছরের শুরুতেই ব্রিগেড সভার মাধ্যমে বিজেপিকে বার্তা দিতে চাইছেন মমতা। ব্রিগেডকে বিজেপি বিরোধী মহামঞ্চ হিসাবে তুলে ধরতে উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল। বিজেপি বিরোধী জাতীয় স্তরের সমস্ত দলের নেতৃত্বকে আহ্বান করা হয়েছে এই জনসভায় যোগ দেওয়ার জন্য। কর্নেল চৌধুরী বলেন, "বিজেপি বিরোধী জাতীয় স্তরের দলগুলোর সাইবার সেলের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। যাঁরা আসছেন, তাঁদের প্রত্যেকের কথাও থাকছে। তাঁদের ভিডিও তৈরি করা হচ্ছে। সেগুলোও প্রকাশ করা হবে। দেশে কি ভাবে একাত্মবোধ টিকে রয়েছে, সাম্প্রদায়িকতা দেশকে ভাগ করে দিচ্ছে। এসবও থাকছে।"

এদিকে রাজ্যে বিজেপির আসন্ন রথযাত্রা নিয়ে ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছেন অভিষেক। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, "দলনেত্রী নির্দেশ দিলে রথের র থাকবে না, চাকাও থাকবে না।" পাল্টা হুমকি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। এবার এই রথযাত্রা নিয়ে নেট দুনিয়াতেও চরম বিরোধিতার পথে যাচ্ছে তৃণমূলের আইটি সেল। কর্নেল চৌধুরীর কথায়, "স্বরাজ মাজদার বড় শীততাপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িতে রথ হচ্ছে। কালিমালিপ্ত লোক ওই রথে থাকবে। রথযাত্রা করে বাংলায় বিভাজন সৃষ্টি করতে চাইছে। তৃণমূল পথে থাকে, মানুষের পাশে থাকে। এই বার্তাও দেওয়া হবে।" কর্নেলের দাবি, "সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা গত কয়েক মাসে অনেক এগিয়ে গিয়েছি। কেন্দ্রীয় বিজেপি আমাদের সঙ্গে টক্কর দিতে ভয় পাচ্ছে।"

Advertisment