বকেয়া টাকার বিষয়ে আশ্বাস না মিললে সাংসদরা ওই জায়গা থেকে নড়বেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক।
১০০ দিনের প্রকল্প-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বকেয়া টাকার দাবিতে বুধবার কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রীর দফতরে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল সাংসদরা। রাজ্যের পাওনা টাকা মেটানোর দাহিতে এদিন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করতে যান তৃণমূল সাংসদরা। কিন্তু গিরিরাজ তাঁদের সময় দেননি বলে মন্ত্রীর দফতরের সামনেই অপেক্ষা করছেন অভিষেকরা। তৃণমূল সূত্রে খবর, মন্ত্রী সময় না দিলে বকেয়া অর্থের দাবিতে মন্ত্রীর অফিসের সামনেই ধরনায় বসবেন তাঁরা। সেই মতো দুপুর দুটো নাগাদ ধরনায় বসেন অভিষেক-সহ ২৫ জন তৃণমূল সাংসদ।
Advertisment
এদিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের নেতৃত্বে দিল্লির কৃষি ভবনের সামনে জড়ো হন। অভিষেক ছাড়াও ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, জহর সরকার, শান্তনু সেনরা। আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা জানিয়েছিল তৃণমূল। দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে আসছে রাজ্য। তাই রাজ্যের পাওনা আদায়ে দিল্লি দরবার করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
.@BJP4India led Central Govt will not release funds, will harass the people of Bengal, will make our Hon'ble Parliamentarians wait and stop us from flagging people's issues to concerned departments...what more? How low will you stoop PM @narendramodi?
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) April 5, 2023
কৃষি ভবনে অভিষেকরা গেলে মন্ত্রকের সচিব জানান, সকালে সংসদে ছিলেন মন্ত্রী। তার পর নিজের এলাকায় যাওয়ার কথা তাঁর। শেষ খবর অনুযায়ী, মন্ত্রীর দফতরের বাইরে অপেক্ষারত তৃণমূল সাংসদরা। বকেয়া টাকার বিষয়ে আশ্বাস না মিললে সাংসদরা ওই জায়গা থেকে নড়বেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক। সচিব জানিয়েছেন, হিসাবে গড়মিলের কারণে বকেয়া মেটানো যাচ্ছে না।
অভিষেক এদিন বলেছেন, "একমাত্র বাংলার টাকাই আটকে রাখা হয়েছে। ১৭ লক্ষ পরিবার কাজ করে বসে রয়েছে, টাকা পাননি। বাকি আছে ৭ হাজার কোটি টাকা।" তৃণমূলের দাবি, দুর্নীতির প্রমাণ থাকলে সংশ্লিষ্ট অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কেন্দ্র ব্যবস্থা নিক। কিন্তু রাজ্যের প্রাপ্য কেন আটকে রাখা হবে। পাল্টা বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যের খরচ করা টাকার হিসাব মিলছে না বলেই টাকা আটকে রাখা হয়েছে। এর আগে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে রেড রোডে দুদিন ধরনায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতেও কাজ না হওয়ায় দিল্লিতে দরবার করছে তৃণমূল।