Prashant Kishore: গত রবিবার থেকে আগরতলার এক হোটেলে ‘বন্দি’ প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের সদস্যরা। সেই রাজ্যে সমীক্ষায় গিয়েছিলেন তাঁরা। তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। যদিও ত্রিপুরা পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁদের বাইরে বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না কারণ করোনাবিধি লঙ্ঘন হতে পারে। তাঁরা এদিক-ওদিক ঘুরলে সংক্রমণবৃদ্ধির সম্ভাবনা। এবার সেই ‘আটক’ আইপ্যাক কর্মীদের ছাড়াতে আগরতলা পৌঁছল তৃণমূলের ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এই দলে রয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই বিষয়ে দমদম বিমানবন্দরে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ‘বিজেপি কীভাবে গণতন্ত্রকে ভূলুণ্ঠিত করছে সেটাই দেখতে যাচ্ছি। যারা আটকে তাঁদের সঙ্গেও কথা বলব।‘ মঙ্গলবার এই ঘটনার নিন্দা করেছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। এদিকে, প্রশান্ত কিশোর বা পিকের সংস্থা আইপ্যাকের কর্মীদের ত্রিপুরায় আটকে রাখার অভিযোগে সরব তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, বিজেপি শাসিত সে রাজ্যের পুলিশ রবিবার রাত থেকে আগরতলার উডল্যান্ড পার্ক হোটেলে আটকে রেখেছে আইপ্যাকের দলটিকে। এই ঘটনার নিন্দা করে ট্যুইট করেন দলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক টুইটারে লেখেন, ‘বাংলায় তৃণমূলের জয়ে বিজেপি এতটাই বিড়ম্বনায় পড়েছে যে তারা ত্রিপুরায় আইপ্যাকে ২৩ জন কর্মীকে গৃহবন্দি করে রেখেছে। বিজেপি-র অপশাসনে দেশে গণতন্ত্রের হাজার বার অপমৃত্যু ঘটছে।‘
সূত্রের খবর, ২০২৩-এ ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট। কর্নাটকের মতো সে রাজ্যেও মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব-বিরোধী হাওয়া তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে একাধিকবার ত্রিপুরা বিজেপির নেতারা দিল্লি দরবার করে বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে এসেছে। এই কোন্দলকে কাজে লাগাতে চায় তৃণমূল। ইতিমধ্যে গত সপ্তাহে সমীক্ষার কাজে ত্রিপুরা গিয়েছিল আইপ্যাকের ২৩ জনের একটি দল। আগরতলার উডল্যান্ড পার্ক হোটেলে রয়েছেন দলের সদস্যেরা। রবিবার রাতে হঠাৎই হোটেলে হানা দেয় পুলিশ। টিম-পিকের সদস্যদের জোর করে আটকে রাখা হয়। এমনটাই অভিযোগ ওই সংস্থার। এই সুরেই আক্রমণ শানায় তৃণমূলও।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন