নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলার অভিযোগে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরে নালিশ করলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। শুক্রবার পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনারের দফতরে যান সাংসদ সৌগত রায়, ডেরেক ওব্রায়েন, শতাব্দী রায়, প্রতিমা মণ্ডল, কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও শান্তনু সেন। ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল কমিশনের কাছে এই হামলার পিছনে গভীর ষড়যন্ত্রের তত্ব তোলেন। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে স্মারকলিপি জমা করেন তাঁরা।
Advertisment
এদিন তাঁরা অভিযোগ জানান, এটি একটি পূর্ব পরিকল্পিত হামলা। মুখ্যমন্ত্রীর প্রাণনাশের যেভাবে আগেও চেষ্টা হয়েছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, এর পিছনে কোনও গভীর চক্রান্ত রয়েছে। কেন হামলা পূর্ব পরিকল্পিত, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তৃণমূলের সাংসদরা। তাঁরা উল্লেখ করেছেন, গত ৮ মার্চ রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ নিজের ফেসবুক পোস্টে একটি কার্টুনে উল্লেখ করেন, নন্দীগ্রামে গেলেই মুখ্যমন্ত্রী মুখ থুবড়ে পড়বেন। একই সময়ে বারবার অভিযোগ করার পর বিজেপির চাপে ৯ মার্চ নির্বাচন কমিশন রাজ্য পুলিশের ডিজি ও এডিজিকে সরিয়ে দেয়। তাও আবার রাজ্য প্রশাসনকে না জানিয়েই।
এছাড়াও বিজেপি সাংসদ তথা যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ গত ৯ মার্চ বাবুল সুপ্রিয়ের একটি টুইট থ্রেড রিটুইট করে লেখেন, আগামিকাল বিকেল পাঁচটার বুঝতে পারবেন কী হবে! এরপরই ১০ মার্চ সন্ধেয় মুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ তৃণমূলের। স্মারকলিপিতে তাঁরা লিখেছেন, এতেই পরিষ্কার যে এই হামলা আগে থেকেই পরিকল্পিত। যাতে মুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলা হয় ১০ মার্চ।
মমতার আহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সৌগত রায় বলেছেন, তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে পুলিশ সুপার এবং স্থানীয় পুলিশ ঘটনার সময় অনুপস্থিত ছিল। তখনই হামলা হয় মুখ্যমন্ত্রীর উপর। এমনকী ঘটনা ধামাচাপি দিতে সাজানো প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরা হয় বলে তাঁর অভিযোগ। চিত্তরঞ্জন দাস ওবং দেবব্রত দাস নামে দুই প্রত্যক্ষদর্শী বলেছিলেন, লোহারে পোলে লেগে আহত হন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের দাবি, তাঁদের প্রত্যেককেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা গিয়েছে।