হাসপাতালের বেডে শুয়েই রাজ্যবাসীর উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকদিনের মধ্যেই প্রচারে ফিরবেন বলে তিনি দলীয় কর্মীদের আশ্বাস দিয়েছেন। প্রয়োজনে হুইলচেয়ারে করে তিনি জেলায় জেলায় প্রচারে যাবেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলার অভিযোগ তুলে এবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরে যাবেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের নির্বাচনী কমিটির বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর প্রচার কর্মসূচির কোনও বদল হবে না। যেমন নির্ধারিত ছিল তেমনই থাকবে।
এদিন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, "একজন জেড প্লাস সিকিউরিটি পাওয়া বাংলার জননেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা এখন কমিশনের এক্তিয়ারে। কেন রাজ্যের ডিজি-এডিজিকে সরানো হল, এর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবে দলের নেতারা। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।" তিনি জানিয়েছেন, আগামিকাল, শুক্রবার দিল্লির নির্বাচন কমিশনের দফতরে যাবেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, শতাব্দী রায়, প্রতিমা মণ্ডল, শান্তনু সেনরা।
সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলার প্রতিবাদে আগামিকাল রাজ্যের সর্বত্র বিকেল তিনটে থেকে পাঁচটা পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে তৃণমূল। কালো ব্যাজ পরে মৌন মিছিল করবেন জেলা থেকে ব্লক নেতৃত্ব। একইসঙ্গে পার্থবাবু জানিয়েছেন, "বাংলার নিজের মেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলা হয়েছে তার জন্য শুধু তৃণমূল নয়, সমাজের সকল শ্রেণির-স্তরের মানুষকে এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।"
এদিন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেছেন, "এতবড় একটা ঘটনা ঘটল, কিন্তু মোদী-শাহের কেউ একটা খোঁজও নিলেন না যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায কেমন আছেন! খুবই নিন্দনীয় এই ব্যবহার।" একইসঙ্গে তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরির সেই ভন্ডামি মন্তব্যকে অত্যন্ত কুরুচিকর-ইতর বলে কটাক্ষ করেছেন।