Advertisment

পুজো মিটতেই ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে ঝাঁপাচ্ছে মমতা বাহিনী

কালীপুজোর আগে আগামী ১০ দিনের মধ্যে বাংলার ২০০০টিরও বেশি গ্রাম ও ওয়ার্ড পরিক্রমা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
mamata, মমতা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

উনিশের ‘ধাক্কা’ সামলে ঘুরে দাঁড়াতে জনসংযোগেই জোর দিতে মরিয়া মমতা ব্রিগেড। পুজো মিটতেই তাই আবারও জনসংযোগে ঝাঁপিয়ে পড়ছে ঘাসফুল শিবির। বিধায়ক, মন্ত্রীদের পর এবার ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন ব্লক, টাউন সভাপতি, জেলা পরিষদের নেতারা। কালীপুজোর আগে আগামী ১০ দিনের মধ্যে বাংলার ২০০০টিরও বেশি গ্রাম ও ওয়ার্ড পরিক্রমা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি আগামী ১৯-২৪ অক্টোবর রাজ্যজুড়ে সম্প্রীতি যাত্রা কর্মসূচি পালন করবে তৃণমূল। উল্লেখ্য, রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রে ‘গান্ধী সংকল্প যাত্রার’ সূচনা করেছে বিজেপি। এর পাল্টা হিসেবেই তৃণমূলের এহেন কর্মসূচি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

Advertisment

আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় সংগঠনে জোর বিজেপির

প্রসঙ্গত, পুজোর আগে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গ্রামে গ্রামে ঘুরেছেন তৃণমূলের বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীরা। এমনকি, দলের কর্মীদের বাড়িতে রাত্রীযাপন করতেও দেখা গিয়েছে তাঁদের। কেউ কেউ আবার দলীয় কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছেন। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনেছেন। কিছুদিন আগে জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়েও জনসংযোগ করতে দেখা গিয়েছে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ফলে উনিশের ভোট বিপর্যয় সামলে ঘুরে দাঁড়াতে এখন জনতার মন পেতে চাইছে তৃণমূল বাহিনী। সে কারণেই মমতা ব্রিগেডের এহেন কর্মসূচি বলে ব্যাখ্যা রাজনীতির কারবারিদের একাংশের।

আরও পড়ুন: সংকল্প যাত্রা উতরাতে সব্যসাচীতেই আস্থা বিজেপির

অন্যদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে তৃণমূল ভবনে দলের ব্লক, টাউন, জলা সভাপতিদের নিয়ে বৈঠকে বসেন তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও এই বৈঠকে ছিলেন না তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকেই আগামী দিনে দলের একগুচ্ছ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছে বলে খবর।

Mamata Banerjee tmc
Advertisment