সাংবাদিকদের সম্বন্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন মহুয়া মৈত্র। প্রবল সমালোচিত কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। পরে, নিজের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেও অবস্থান বদল করেননি মহুয়া। আর তাতেই অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এই ইস্যুতে দলের অবস্থান নিয়ে। তড়িঘড়ি তাই রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী তথা শীর্ষ তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানালেন, 'এটা ওর (মহুয়া মৈত্র) কথা, দলের কথা নয়। তৃণমূল নেত্রী প্রেসের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাসী।' অর্থাৎ দলীয় সাংসদের মন্তব্যের দায় নিতে রাজি নয় তৃণমূল।
এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে মহুয়া প্রসঙ্গে উঠে আসে। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, 'পক্ষে-বিপক্ষে যাই লিখুক না কেন তৃণমূল ও দলনেত্রী সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কেই বিশ্বাসী। প্রেসের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করাই আমাদের নীতি। ও (মহুয়া মৈত্র) কিছু বলেছে জানি, কিন্তু নিজের কানে শুনিনি। তবে বলব এটা ওর কথা দলের কথা নয়।'
রবিবার নদিয়ার গয়েশপুরে একটি কর্মীসভায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে সবাইকে বলেন মোবাইল রেকর্ডিং না করতে। আচমকা এক সাংবাদিক তাঁর নজরে আসে। ব্যাস, মারাত্মক ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সাংসদ। বলেন, ‘কে এই দু’পয়সার প্রেসকে ভেতরে ডাকে? কর্মী বৈঠক হচ্ছে। আর সবাই টিভিতে মুখ দেখাতে ব্যস্ত। আমি নির্দেশ দিচ্ছি, প্রেসকে সরান। ’
এই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর প্রতিবাদে মুখর হন সাংবাদিকরা। প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয়,‘কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র সাংবাদিকদের সম্বন্ধে যে মন্তব্য করেছেন তাতে প্রেস ক্লাব, কলকাতা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং তীব্র প্রতিবাদ করছে। তাঁর এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে অনভিপ্রেত, অপমানজনক। ধিক্কার জানাই সাংসদের মন্তব্যে।’
বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট জনেদের থেকেও ওঠে নিন্দার ঝড়। এই পরিস্থিতিতে টুইটে সোমবার তিনি লেখেন, 'আই অ্যাপোলোজাইজ ফর দ্য মিন হার্টফুল অ্যাকিউরেট থিংস আই সেড ।' অর্থাৎ, মানুষকে আহত করবে সেটি স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নিলেও তিনি যা বলেছেন, সেটা সঠিক বলে দাবি তৃণমূল সাংসদের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
'ওটা ওর কথা-দলের নয়', মহুয়ার 'দু’পয়সার সাংবাদিক' প্রসঙ্গে সুব্রত
সাংবাদিকদের সম্বন্ধে বেঁফাস মন্তব্য করে বিতর্কে মহুয়া মৈত্র। সমালোচনার ঝড়। পরে ক্ষমা চাইলেও অবস্থান বদল করেননি তৃণমূল সাংসদ।
Follow Us
সাংবাদিকদের সম্বন্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন মহুয়া মৈত্র। প্রবল সমালোচিত কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। পরে, নিজের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেও অবস্থান বদল করেননি মহুয়া। আর তাতেই অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এই ইস্যুতে দলের অবস্থান নিয়ে। তড়িঘড়ি তাই রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী তথা শীর্ষ তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানালেন, 'এটা ওর (মহুয়া মৈত্র) কথা, দলের কথা নয়। তৃণমূল নেত্রী প্রেসের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাসী।' অর্থাৎ দলীয় সাংসদের মন্তব্যের দায় নিতে রাজি নয় তৃণমূল।
এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে মহুয়া প্রসঙ্গে উঠে আসে। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, 'পক্ষে-বিপক্ষে যাই লিখুক না কেন তৃণমূল ও দলনেত্রী সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কেই বিশ্বাসী। প্রেসের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করাই আমাদের নীতি। ও (মহুয়া মৈত্র) কিছু বলেছে জানি, কিন্তু নিজের কানে শুনিনি। তবে বলব এটা ওর কথা দলের কথা নয়।'
রবিবার নদিয়ার গয়েশপুরে একটি কর্মীসভায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে সবাইকে বলেন মোবাইল রেকর্ডিং না করতে। আচমকা এক সাংবাদিক তাঁর নজরে আসে। ব্যাস, মারাত্মক ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সাংসদ। বলেন, ‘কে এই দু’পয়সার প্রেসকে ভেতরে ডাকে? কর্মী বৈঠক হচ্ছে। আর সবাই টিভিতে মুখ দেখাতে ব্যস্ত। আমি নির্দেশ দিচ্ছি, প্রেসকে সরান। ’
এই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর প্রতিবাদে মুখর হন সাংবাদিকরা। প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয়,‘কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র সাংবাদিকদের সম্বন্ধে যে মন্তব্য করেছেন তাতে প্রেস ক্লাব, কলকাতা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং তীব্র প্রতিবাদ করছে। তাঁর এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে অনভিপ্রেত, অপমানজনক। ধিক্কার জানাই সাংসদের মন্তব্যে।’
বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট জনেদের থেকেও ওঠে নিন্দার ঝড়। এই পরিস্থিতিতে টুইটে সোমবার তিনি লেখেন, 'আই অ্যাপোলোজাইজ ফর দ্য মিন হার্টফুল অ্যাকিউরেট থিংস আই সেড ।' অর্থাৎ, মানুষকে আহত করবে সেটি স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নিলেও তিনি যা বলেছেন, সেটা সঠিক বলে দাবি তৃণমূল সাংসদের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন