শনিবার শেষ মুহূর্তে তৃণমূলের সভা সরানোর নির্দেশ দেয় ত্রিপুরা পুলিশ। রবীন্দ্র ভবনের সামনে থেকে সরিয়ে সভা আগরতলার আস্তাবলের বিবেকানন্দ ময়দানে সরানোর নির্দেশ দেয় পুলিশ। রবিবার বিপ্লব দেব প্রশাসনের সেই নির্দেশকে ঢাল করেই সুর চড়ালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে নিশানা করে তাঁর সাফ জবাব, 'বিবেকানন্দ ময়দানে সভা সরিয়ে নিতে যেতে বলা হয়েছিল। বিপ্লব দেবের স্বপ্ন পূরণ করে দেব। ডিসেম্বরে ওই মাঠেই সভা করবেন তৃণমূলনেত্রী।'
আগরতলার সমাবেশে আজ আগাগোড়া আক্রমণাত্মক মেজাজ ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এর আগে একাধিকবার ত্রিপুরায় তৃণমূলের সভায় বাধা এসেছে বলে এদিন অভিযোগ তোলেন অভিষেক। শনিবার শেষ মুহূর্তে তৃণমূল নেতৃত্বকে আগরতলার রবীন্দ্র ভবনের সামনে থেকে সভা সরানোর নির্দেশ দেয় পুলিশ। যদিও পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের নির্দেশে মেলে সভার অনুমোদন। '২০২৩-এর বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করবে তৃণমূল', আশাবাদী অভিষেক। ২০২৩ পর্যন্ত ত্রিপুরার মাটি আঁকড়ে পড়ে থাকবেন বলে এদিন জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সভামঞ্চ থেকে এদিন ফের একবার বিজেপিকে করোনাভাইরাসের সঙ্গে তুলনা করেছেন অভিষেক। গেরুয়া শিবিরকে বিঁধে তিনি বলেন, 'করোনার চেয়েও মারাত্মক বিজেপি ভাইরাস। বিজেপি ভাইরাসকে আটকাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ ২৫ নভেম্বর দিন। দ্বিতীয় ডোজ দেবেন ১৩ মাস পরে বিধানসভা নির্বাচনে। দুই ডোজেই ত্রিপুরা বিজেপি মুক্ত হবে।'
আরও পড়ুন- ‘আজ খুঁটিপুজো হল, ২০২৩-এ হবে বিসর্জন’, বিপ্লব দেবের সরকারকে তুলোধনা অভিষেকের
একুশের নির্বাচনে বাংলায় ডাবল ইঞ্জিন সরকারের তত্ত্ব তুলে ধরে প্রচারে ঝড় তুলেছিল গেরুয়া শিবির। এদিন ত্রিপুরায় গিয়ে বিজেপির সেই বার্তাকে বিঁধলেন অভিষেক। তাঁর কথায়, 'বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন মানে কেন্দ্রেও চুরি রাজ্যেও চুরি। কোনও উন্নয়ন হয়নি ত্রিপুরায়। ১০ হাজারের বেশি শিক্ষকের চাকরি গেছে। বিপ্লব দেব এখন বিগ ফ্লপ দেব।'
এদিকে, এদিন আগরতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা শুরুর আগেই তৃণমূলে ফিরেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ৯ মাস পর বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে ফিরেছেন রাজীব। রাগ ও জেদের বশে দল ছেড়ে ভুল করেছিলেন বলেও এদিন প্রকাশ্যে জানিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দলত্যাগের সিদ্ধান্তে তিনি লজ্জিত বলেও এদিন সাফ জানিয়েছেন রাজীব। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন বিধায়ক আশিস দাস।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন