তৃণমূল সরকার পশ্চিমবঙ্গকে ‘পুলিশের রাজ্যে’ পরিণত করতে চায়। রাজভবন-নবান্ন সংঘাত বিতর্ক উস্কে অভিযোগ করলেন জগদীপ ধনকড়। রাজ্যপালের কাজ নিয়ে এর আগে একাধিকবার প্রস্ন তুলেছেন শাসক দলের নেতারা। তার জবাবে এদিন রাজভবনে দাঁড়িয়ে সংবিধানের ১৫৪ নম্বর ধারা তৃণমূল নেতৃত্বকে স্মরণ করিয়ে দেন রাজ্যপাল।
রাজ্য পরুলিশের ডিজি বীরেন্দ্ররও কড়া সমালোচনা করেন রাজ্যপাল ধনকড়। বলেন, ‘কোনও রাজ্যের পুলিশের ডিজি কীভাবে এত দায়িত্বজ্ঞানহীন ও নির্মম হতে পারেন তা বিশ্বস করা কষ্টকর।’ পুলিশ শাসক দল তৃণমূলের ক্যাডারের মত কাজ করছে বলেওও তোপ দাগেন রাজ্যপাল।
এরপরই মমমতাকে সরকারকে বিঁধে জগদীপ ধনকড় বলেন, ‘সংবিধান সুরক্ষিত না হলে আমাকে পদক্ষেপ করতেই হবে। রাজ্যপালের দফতর বহু দিন ধরেই অবহেলিত। আমি সংবিধানের ১৫৪ ধারা স্মরণ করিয়ে দিতে চাইব।’ সংবিধানের এই ধারা মোতাবেক, রাজ্যের নির্বাহী ক্ষমতা রাজ্যপালের হাতে ন্যস্ত করা এবং সরাসরি বা রাজ্যপালের অধীনস্ত আধিকারিকদের মাধ্যমে তিনি তা প্রয়োগ করবেন।
রাজভবনে নজরদারি চলছে। আগেই অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যপাল। এদিন ধনকড় বলেন, ‘তৃণমূল সরকারের নজরদারির জন্যই আমি হোয়াটঅ্যাপে ভয়েস কল করতে বাধ্য হই।’ তাঁর সংযোজন, ‘বাংলা পুলিশ রাজ্যে পর্যবসিত হচ্ছে। যার প্রধান ও প্রথম শত্রু গণতন্ত্র। পুলিশ রাজ্য ও গণতন্ত্র হাত ধরাধরি করে একযোগে চলতে পারে না।’
রাজ্যপালের দাবি, ‘এ রাজ্যের পুলিশ অতিরিক্ত সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষের দাসত্ব করছে।’ তাঁর অভিযোগ, ‘রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। মাওবাদীরা ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ এ রাজ্য থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।’
ধনকড়ের কথায়, ‘বাণিজ্য সম্মেলন থেকে গণবন্টন, কোনও বিষয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে জবাব পাওয়া যায় না। কোথায় যাচ্ছি আমরা?’ তবে মুখ্যমন্ত্রীর উত্তর না দেওয়ার কারণও এদিন ব্যাখ্যা করেন ধনকড়। তাঁর কথায়, “উনি চান না যে মানুষ তথ্য পান, সেই জন্যই উপেক্ষা করেন।’
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন