Advertisment

'আনিসের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল', মমতার দাবি নিয়ে মুখ খুললেন মৃত ছাত্র-নেতার বাবা

'আনিসের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ ভালো ছিল। ইলেকশনে আমাদের অনেক হেল্পও করেছিলেন। কাজেই ও আমাদের ফেভারিট ছিল।'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
anis khans family rely on cbi investigation to amta ps updates

আনিসের খুনীদের ধরতে সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় পরিবার।

আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতার মৃত্যু ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনীতির রং লেগেছে। তারমধ্যেই সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ঘিরে জোর চর্চা চলছে। যা নিয়ে মঙ্গলবার মুখ খুললেন মৃত আনিস খানের বাবা সালেম খান।

Advertisment

আমতার দক্ষিণ খানপাড়ায় আনিস খানের বাড়ি। গত শুক্রবার ঘটনার পর থেকেই প্রতিবেশীদের দাবি, শাসক দলের নানা কাজের সঙ্গে মতান্তর ছিল আনিসের। অবিচার দেখলেই প্রতিবাদ করত সে। যার মাসুল প্রাণ দিয়ে দিতে হয়েছে তাঁকে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও কার্যত এই দাবিতে সোচ্চার হয়।

কিন্তু, এই তত্ত্ব সোমবার নবান্নে বসে নস্যাৎ করে দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন যে, আনিস খানের সঙ্গে তৃণমূলের যোগাযোগ ছিল। এমনকী নির্বাচনেও নাকি সে শাসক দলকে সহায়তা করেছিল। বলেছিলেন, 'আনিসের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ ভালো ছিল। যাঁরা এখন টেলিভিশনে দর্শনধারী হতে গিয়েছেন, তাঁরা জানেন না, আমাদের সঙ্গে ও যোগাযোগ রাখতেন। ইলেকশনে আমাদের অনেক হেল্পও করেছিলেন। কাজেই ও আমাদের ফেভারিট ছিল।'

আরও পড়ুন- আততায়ীরা পাশের বাড়ির ভিতরের রাস্তা জানলো কীভাবে? আনিস মৃত্যুতে রহস্য গভীরে

মুখ্যমন্ত্রীর দাবি নিয়ে মঙ্গলবার মুখ খুলেছেন মৃত আনিসের বাবা সালেম খান। অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতেই রয়েছেন তিনি। খাটে শুয়ে তিনি বলেন, 'বাজে কথা। আমার ছেলের দিদির দলের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না। যদি দিদির দলের সহ্গে যোগাযোগ থাকতো তাহলে কী পুলিশ বা পুলিশ সেজে দুষ্কৃতীরা ওকে মারতো?' অর্থাৎ, মৃত ছাত্রনেতার সঙ্গে তৃণমূলের যোগাযোগের যে দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন তা খারিজ করলেন সালেম খান।

পরিবারের অন্যান্য সদস্য থেকে আমতার দক্ষিণ খানপাড়ায় বাসিন্দারা বাড়ে বাড়েই জানিয়েছেন যে, এলাকার শিক্ষিত যুবক আনিস খান কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই জড়িত ছিলেন না।

ইতিমধ্যেই সিট আনিস মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে। পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। সাসপেন্ড করা হয়েছে আমতা থানার এক এএসআই, কনস্টেবল ও গোমগার্ডকে। কর্তব্যে গাফিলতি ও খারাপ ব্যবহারের জন্য এই তিন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পুলিশের এই পদক্ষেপে সন্তুষ্ট নয় আনিস খানের পরিবার। বাবা সালেমের বক্তব্য, 'সাসপেন্ড করে কী হবে। আজ শাস্তি পাবে কাল আবার কাজে যোগ দেবে। এতে কোনও লাভ নেই। আমার ছেলেকে পুলিশই তো মেরেছে। আমি চাই সিবিআই তদন্ত হোক। আর যদি পুলিশ না মারে তাহলে সিবিআই তদন্ত হোক, কারা মেরেছে বোঝা যাবে।'

Mamata Banerjee tmc Anis Khan Murder
Advertisment