ঢাক্কানিনাদই সার। ত্রিপুরায় এখনও পর্যন্ত খাতাই খুলতে পারল না তৃণমূল। বাংলরা পড়শি এই রাজ্যে বিজেপি জোট সংখ্যগরিষ্ঠ আসনেই এগিয়ে রয়েছে। গেরুয়া জোটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়ে চলেছে বাম-কংগ্রেসের জোটও। তিপ্রা মথা দলও বেশ কিছু আসনে এগিয়ে থেকে ত্রিপুরার রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে দেওয়ার আভাস দিচ্ছে। তবে তৃণমূল কংগ্রেস একটি আসনেও এখনও পর্যন্ত এগোতে পারেনি।
বাংলার পড়শি রাজ্য ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করেছিল তৃণমূল। এরাজ্যের শাসকদলের একঝাঁক নেতাকে মাসের পর মাস ধরে ত্রিপুরায় ফেলে রেখে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা। পালা করে ত্রিপুরায় গিয়েছেন মমতা-অভিষেক। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, মানস ভুঁইয়া, সুস্মিতা দেবরা আগরতলার মাটি আঁকড়ে পড়ে থেকে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন মাসের পর মাস ধরে। তবুও এবারের বিধানসভা ভোটে এখনও পর্যন্ত দাগ কাটার মতো ফলও চোখে পড়ল না জোড়াফুলের।
আরও পড়ুন- সাগরদিঘিতে পালাবদল? পঞ্চম রাউন্ড গণনা শেষেও প্রায় ৫ হাজার ভোটে পিছিয়ে তৃণমূল
ত্রিপুরার বিধানসভা ভোটে তবে কি খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে তৃণমূলকে? উত্তরটা স্পষ্ট না হলেও ইঙ্গিতটা কিন্তু রয়েছে। বরং ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়ে ফিরেছে বাম-কংগ্রেসের জোট। শাসকশিবিরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়াই জারি রেখেছে তারা। ত্রিপুরায় এবারের ভোটে সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক শক্তি হল তিপ্রা মথা। জনজাতি এই দল এবারের ভোটে বড় ফ্যাক্টর হতে পারে বলে আগেভাগেই ইঙ্গিত মিলেছিল।
আরও পড়ুন- সাগরদিঘি উপ-নির্বাচন: এগিয়েই চলেছে বাম-কংগ্রেস জোট, বহরমপুরে অকাল-হোলি
অনেক রাজনৈকিক বিশ্লষকও তিপ্রা মথার ভালো ফলের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোটের ফল প্রকাশের ট্রেন্ডেও দেখা যাচ্ছে তিপ্রা মথা বেশ কিছু আসনে এগিয়ে রয়েছে। ত্রিপুরায় ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতি হলে সরকার গড়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে চলেছে এই তিপ্রা মথা। সেই ইঙ্গিত কিন্তু বেশ স্পষ্ট হচ্ছে। যদিও তিপ্রা মথাকে আগেভাগে বন্ধুত্বের বার্তা দিয়ে রেখেছে কংগ্রেস।