বিরোধী সাংসদদের ধর্নাস্থলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ট্যুইটার/তৃণমূল
TMC: সংসদে সরকার-বিরোধী প্রতিবাদ আয়োজনে একলা চলোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করে এই দাবি করছে বিশ্লেষকরা। এবার সংসদের দুই কক্ষে রাজ্যের শাসক দলের রণকৌশল স্থির করতে বৈঠক করলেন তৃণমূল সাংসদরা। ঘাসফুল শিবিরের সংসদীয় দলের এই বৈঠকে নেতৃত্ব দেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি কলকাতা থেকে বিমান দিল্লি উড়ে গিয়েছেন। এই বৈঠকর নির্যাস অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের ট্যুইটার পেজে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই ট্যুইটে লেখা, ‘আমাদের সাংসদরা দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে সংকল্পবদ্ধ। মানুষের জন্য আমাদের লড়াই চলবে, বিজেপি অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ চলবে। আমরা লড়েই মানুষের অধিকার নিশ্চিত করব। জয়হিন্দ।‘
Advertisment
Our Hon'ble MPs are committed towards ensuring the welfare of the people of India.
We will continue to raise our voices against the wrongdoings of @BJP4India. We will fight for our people.
এদিকে, এদিন দিল্লি পৌঁছেই সংসদ ভবন চত্বরে অবস্থান দলীয় সাংসদদের সঙ্গে দেখা করেন অভিষেক। যে ১২ জন রাজ্যসভার সাংসদকে গোটা অধিবেশন সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে তৃণমূল সাংসদরা রয়েছেন। সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সংসদ চত্বরে গান্ধিমূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা। মঙ্গলবার তৃণমূল সাংসদদের সেই অবস্থানে অংশ নিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
অপরদিকে,শীতকালীন অধিবেশনের দ্বিতীয় সপ্তাহেও ঘটনাবহুল থাকল সংসদ। মঙ্গলবার সংসদ শুরু হতেই সাসপেন্ডেড সাংসদদের ফেরানোর দাবিতে সরব হয় বিরোধী দলগুলো। যদিও কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইলেই সাসপেনশন প্রত্যাহার। বিরোধী শিবিরকে এই বার্তা পাঠান সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। দুই পক্ষের এই টানাপোড়েনে এদিনও অবস্থান বিক্ষোভ করতে দেখা গিয়েছে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়া ১২ সাংসদকে। সাংবিধানিক রীতিনীতি মানছে না মোদি সরকার, এই অভিযোগেই সরব তাঁরা।
Advertisment
সংসদীয় কমিটির বৈঠকে তৃণমূল সাংসদরা। ছবি: ট্যুইটার
বুধবারও বিরোধী হল্লায় দফায় দফায় মুলতুবি হয়েছে সংসদ। রাজ্যসভায় কংগ্রেসের দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের অভিযোগ, ‘সরকারপক্ষের জন্যই সংসদে অচলাবস্থা। আমরা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এবং শাসকপক্ষকে প্রথম থেকেই বলেছি এই সাসপেনশন অবৈধ। আগের অধিবেশনের কৃতকর্মের জন্য এই অধিবেশনে শাস্তি দেওয়া অগণতান্ত্রিক। এভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।‘
এদিকে, এদিন ফের কৃষক আন্দোলন চলাকালীন শহিদ কৃষকদের পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণের দাবিতে লোকসভায় সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধি। তিনি মৃত কৃষকদের তালিকা হাতে নিয়ে এদিন কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ক্ষমা প্রার্থনা করছেন আর আপনারা বলছেন মৃত কৃষকদের তালিকা নেই। এই আমার হাতে সেই তালিকা। এঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং একটা করে চাকরি দিন।‘ অপরদিকে, তেলেঙ্গানা থেকে চাল কেনার দাবিতে এদিন সংসদের দুই কক্ষ ওয়াকআউট করে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি বা টিআরএস। দাবি পূরণ না হলে গোটা অধিবেশন বয়কটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন টিআরএস সাংসদরা।