রাজ্যে বিধানসভার ভোট যত এগিয়ে আসছে নানা ধরনের সমীকরণ তৈরি হচ্ছে। এবার শুধু হিন্দি ভাষাভাষীদের জন্য পৃথক হিন্দি সেল ঘোষণা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওয়েস্ট বেঙ্গল তৃণমূল কংগ্রেস হিন্দি সেলের শুধু রাজ্য সংগঠন নয়, ধাপে ধাপে এই সেলের জেলা ও ব্লক স্তরেও কমিটি করার কথা বলা হয়েছে। রাজ্য স্তরে চেয়ারম্যান হয়েছেন সাংসদ দিনেশ ত্রিবেদী ও সভাপতি বিবেক গুপ্তা। যদিও এভাবে হিন্দি ভাষীদের ভোট ক্যাপচার করা যাবে না বলে মনে করছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব।
এদিন হিন্দি দিবস উপলক্ষ্যে টুইট করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের দাবি, রাজ্য হিন্দি শিক্ষা, সংস্কৃতি ও উন্নয়ন প্রসারের জন্য কাজ করছে ২০১১ সাল থেকে। ২০১৯ সালে হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিল পাশ হয়েছে। যা তৈরি হচ্ছে হাওড়ায়। উত্তরবঙ্গে হিন্দি কলেজ স্থাপন করেছে রাজ্য সরকার। এদিন হিন্দি দিবস উপলক্ষ্যে সাংবাদিক বৈঠকও করেন দিনেশ ত্রিবেদী ও বিবেক গুপ্তা।
এদিকে বিজেপি মনে করছে হিন্দি ভোটের জন্য একাজ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাতে চিঁড়ে ভিজবে না বলেই দাবি বঙ্গ বিজেপির। বিজেপির রাজ্য সহসভাপতি তথা ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, "শেষ সময়ে হিন্দি ভাষীদের বোকা বানানোর জন্য একাজ করছে। তাহলে দিনেশ ত্রিবেদী কি এভাবে হারত? ব্যারাকপুর লোকসভা থেকে তাঁকে হারিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে জনগণ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখছে পায়ের তলায় মাটি নেই, তাই এসব গিমিক করছেন। ব্লক ভিত্তিক কী সংগঠন করবে? থানার ওসিরাই এখন তৃণমূলের সভাপতি।" অর্জুন সিংয়ের দাবি, "এরাজ্যের হিন্দি ভাষীরা এঁদের সঙ্গে নেই। সেই ভোট তৃণমূলের জুটবে না।"
অভিজ্ঞ মহলের মতে, রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিধানসভা আসনে হিন্দি ভাষাভাষীরা ফ্যাক্টর তা নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। এরাজ্যেও নির্বাচনের সমীকরণে ক্রমশ জাতপাত, ভাষা, গোষ্ঠী ভিত্তিক ভোট ব্যাঙ্ক তৈরি করার প্রবণতা বাড়ছে। বিজেপি হিন্দি ভাষীদের দল এ নিয়ে বিরোধী শিবির প্রচার করে থাকে। তবে পদ্মশিবিরের কেন্দ্রীয় বা রাজ্য নেতৃত্ব রাজনৈতিক সভাতেও বাংলার মণিষীদের নামোচ্চারন করতে ভোলেন না। রবীন্দ্রনাথের সোনার বাংলা গড়ার কথা বলে আসছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে তৃণমূল গড়ছে হিন্দি সেল। অভিজ্ঞ মহলের মতে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই সংগঠনের মাধ্যমে হিন্দি ভাষীদের কাছে টানতে চাইছে তৃণমূল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন