জয়প্রকাশ দাস
সিবিআই, ইডি দেখিয়ে যে তাঁদের ভয় পাওয়ানো যাবে না, সে কথা সোচ্চারে জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের যুবরাজ। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতির বক্তব্য়, ‘‘কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলো যত ধমকাবে, যত চমকাবে ততই শক্তিশালী হব। অন্য় আঞ্চলিক দলের মত গুটিয়ে থাকব না।’’ মঙ্গলবার মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশের সভা থেকে মুকুল নিয়েও মুখর হলেন তিনি। নিজের দলের একদা সেকেন্ড ইন কমান্ডকে আক্রমণ করার পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন পেট্রোপণ্য়ের দাম বাড়ার প্রতিবাদে কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট কেন পথে নামেনি, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
এদিন পেট্রোপণ্য়ের মূল্য়বৃদ্ধির প্রতিবাদে মেয়োরোডে অবস্থান-বিক্ষোভ করে তৃণমূল যুব কংগ্রেস। দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতারাও ওই সভায় হাজির ছিলেন। সেখানে অভিষেক কেন্দ্রীয় সরকার তথা নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে বলেন, ‘‘তোমার সিবিআই কাঁচকলা করেছে। তোমার সিবিআই কাঁচকলা করবে।’’ মমতার নেতৃত্বে বাংলার মানুষের লড়াই চলবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আরজেডি, এআইডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে সবাইকে ধমকে চমকে রাখে সিবিআই, আর ইডি দেখিয়ে। আমাদের দল বিশুদ্ধ লোহার মত। আমাদের ধমকে চমকে লাভ নেই।’’
বাক্যবাণে বিরোধীদের বিদ্ধ করলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় (ফোটো- শশী ঘোষ)
এদিন বাক্যবাণে বিজেপিকে বিদ্ধ করতে গিয়ে সম্ভবত কিঞ্চিত উত্তেজিতই হয়ে পড়েছিলেন তিনি। দলীয় সতীর্থ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অভিষেক বলেন, মদন মিত্রকে বিড়াল করে জেলে ঢোকানো হয়েছিল, তিনি বাঘ হয়ে ফিরে এসেছেন। সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে এক মঞ্চে দেখা যাওয়ায় যদি মদন মিত্রকে গ্রেফতার হতে হয়, তবে নীরব মোদির সঙ্গে এক মঞ্চে ওঠার জন্য নরেন্দ্র মোদি কেন গ্রেফতার হবেন না, সে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে নিজের বিভাজন রাখতে গিয়ে অভিষেক আজ বলেছেন, ‘‘জয় শ্রীরাম ধ্বনি আমিও দিই।’’ ধর্মের নামে অস্ত্র মিছিল মেনে নেওয়া যায় না বলে জানিয়ে তিনি বলেন, যোগী আদিত্যের হিন্দুত্বে তিনি বিশ্বাস করেন না।