আগরতলায় সাংবাদিক বৈঠক করে বিপ্লব দেবের সরকারকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা করে আগরতলায় অভিষেকের পদযাত্রার অনুমতি দেয়নি বিপ্লব দেবের সরকার। এই বিষয়টিকে ঢাল করেই এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেকের তোপ, 'আজ ২২ তারিখ, আইনশৃঙ্খলার কারণ দেখিয়ে পদযাত্রার অনুমতি দেওয়া হল না। তবে ২৫ তারিখ অবাধ ভোট হবে কী করে।' সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আগরতলা কর্পোরেশনে বিজেপি খাতাই খুলতে পারবে না বলে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন অভিষেক। এছাড়াও সায়নী গ্রেফতার, ত্রিপুরায় দলের উপর 'হামলা'-সহ একাধিক বিষয় তুলে এদিন বিপ্লব দেবের সরকারকে নিশানা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন ঠিক কী বলেছেন অভিষেক? একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
*ত্রিপুরায় নৈরাজ্যের পরিবেশ, বিরোধীদের সভার অনুমতি দেওয়া হয় না।
*হাসপাতালের ভিতরে গুন্ডা ঢুকে যায়। রাজনৈতিক দল, সংবাদমাধ্যমর উপর আক্রমণ।
*দমন-পীড়নের ঘটনায় রোজ রেকর্ড ভাঙছে বিজেপি।
*ত্রিপুরায় একদিনে থানায় দু'বার হামলা। আইনশৃঙ্খলার রক্ষাকারীদের এই অবস্থা হলে বাকিদের নিরাপত্তা কোথায়?
*থানার ভিতরে ঢুকে আক্রমণ। নীরব দর্শকের ভূমিকায় পুলিশ। কারও মাথা, কারও কোমরে আঘাত, মিডিয়াকেও ছাড়া হয়নি।
*মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের ইন্ধনে হেলমেট পরে গুন্ডাবাহিনীর হামলা। পুলিশের সামনে থানার ভিতরে আক্রমণ।
*বিজেপি নেতাদের খুশি করার চেষ্টা করছে পুলিশ। ত্রিপুরা পুলিশকে বলব, আপনারা কর্তব্য পালন করুন।
*যা ভাবমূর্তি তৈরি করা হচ্ছে তাতে ৫০ বছর পিছিয়ে গেছে ত্রিপুরা। বিরোধীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
*সুপ্রিম কোর্টে আদালত অবমনানার মামলা করেছি। কাল শুনানি।
*বিপ্লব দেবের ইন্ধনে দুয়ারে গুন্ডা। পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। নির্লজ্জ হয়ে গেছেন বিপ্লব দেব।
*ত্রিপুরায় প্রথম দিন থেকে তৃণমূলের উপর হামলা। মহিলাদের নিগ্রহ করা হচ্ছে।
*এখানে একটা ছোট চোর বসে চুরি করছে, ওপরে বসে দু'জন চুরি করছে।
*আগামী দিনে পাড়ায় পাড়ায় গুন্ডা চান, না স্বপ্নের ত্রিপুরা চান, বলুক ত্রিপুরাবাসী।
*বাংলায় হেরেছে বলে পেট্রল-ডিজেলের দাম কমিমেয়েছে কেন্দ্র। বাংলায় হেরেছে বলে কৃষি আইন প্রত্যাহার করেছে।
*বাংলায় হেরেছে বলে মন্ত্রিসভায় রদবদল হয়েছে।
*ত্রিপুরায় শিল্প নেই। ভাঙার রাজনীতি চলছে।
*মারতে মারতে তুমি হাঁফিয়ে যাবে, তৃণমূল তত মজবুত হবে।
*প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরাও বাংলায় গিয়ে খেলা হবে স্লোগান দিয়েছেন।
*রাস্তায় যেতে যেতে খেলা হবে বলেছে সায়নী।
*খেলা হবে বলে সায়নী গ্রেফতার হলে মোদী, শাহ গ্রেফতার হবেন না কেন।
*আমাদের সৌজন্য আমাদের দুর্বলতা নয়।
*ধর্মের ধারক-বাহক বলে দাবি করছে। ধর্মের জন্য কী করেছে।
*সরকারি গাড়ি দিয়ে তৃণমূলের পতাকা ছেঁড়া হয়েছে। মানে পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে।
*বিজেপিকে ভোট লুঠ করতে দেবেন না। ২৫ তারিখ নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করুন।
*ত্রিপুরায় বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়ব না। বিজেপিকে হারাতেই ত্রিপুরায় এসেছি।
*অবাধ ভোট হলে আগরতলায় খাতা খুলতে পারবে না বিজেপি।
*বিজেপি আগরতলার ৫০ ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছে। তৃণমূল ৫১ ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছে।
*ভয় পেয়ে গ্রেফতার তৃণমূলকে। বিজেপির শেষের শুরু।
*ত্রিপুরায় যা ঘটেছে আদালতে সব ছবি দিয়েছি। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে সায়নীকে।
*ভয় পেয়ে সায়নীকে গ্রেফতার।
*সিপিএম বিজেপিকে হারানোর ক্ষমতা রাখে না।
*কংগ্রেস এদের হারানোর ক্ষমতা রাখে না।
*তৃণমূলই বিজেপিকে হারাতে পারবে।
*উত্তর পূর্ব ভারতে সব চেয়ে বেশি রাজনৈতিক হিংসা ত্রিপুরায়।
*মানবাধিকার কমিশন একজনের কথায় চলে।
*সায়নীর বিরুদ্ধে প্রমাণ নেই। কুণাল ঘোষের নামেও মামলা। সুদীপ, জয়াদের বিরুদ্ধে মামলা।
*সংবিধানের অপব্যবহার ত্রিপুরায়। মানুষের ভোট যেন গুন্ডারা না দেয়।
*হোটেলের মালিকদের বলে দিচ্ছে, বাংলা থেকে তৃণমূলের কেউ এলে রুম দেবে না।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন