Project Pegasus: ফোনে আঁড়ি পাতা কাণ্ডে এবার সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ট্যুইটে তিনি বিজেপিকে ‘হেরো’ আখ্যা দিয়ে ২০২৪-এ আরও প্রস্তুতি নিয়ে ভোট ময়দানে নামতে চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন। ট্যুইটে তিনি লেখেন, ‘হেরোদের জন্য দু’মিনিটের নীরবতা। ইডি, সিবিআই, এনআইএ, আইটি, নির্বাচন কমিশন ছাড়াও টাকা অর্থ এবং শক্তি নিয়ে ভোটের ময়দানে নেমেছিল বিজেপি। সঙ্গে ছিল পেগাসাসের গুপ্তচরবৃত্তি। তারপরেও বাংলার নির্বাচনে মুখ রক্ষা করতে পারলেন না অমিত শাহ। দয়া করে আরও বেশি প্রস্তুতি নিয়ে ২০২৪-এ আসবেন।’
রবিবার রাত থেকে ‘পেগাসাস’ নামে এক স্পাইওয়্যার নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সোমবার জাতীয় রাজনীতি উত্তপ্ত ছিল এই বিতর্কে। ২০১৯ সালেও এক বার এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এ বারেও সেই একই স্পাইওয়্যারের কথা উঠে এল। দেখুন সেই ট্যুইট:
এদিকে, পেগাসাসের নজরদারি থেকে রেহাই পাইনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোর। সাম্প্রতিক রিপোর্টে এমন দাবি করা হয়েছে। ‘দা ওয়ার’ ডিজিটাল মাধ্যমের খবর ঘিরে সোমবার জাতীয় রাজনীতিতে হইচই পড়ে গিয়েছে। সেই মাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশ, ‘রাহুল গান্ধী, তাঁর কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী, প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, প্রহ্লাদ প্যাটেল-সহ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের ফোনেও নজরদারি চালিয়েছিল ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাস।‘
২০১৯ সালে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। এই অভিযোগ করেছিলেন তাঁর সহকর্মী বিচারপতিরা। তাঁদের প্রত্যেকের ফোনেই নজরদারি চালিয়েছে পেগাসাস। এমনটাই সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে প্রকাশ। দা ওয়ার সূত্রে খবর, রাহুল গান্ধী-সহ প্রায় ৩০০ ভারতীয়র মোবাইল নথি ফাঁস হয়েছে। সেই নথি প্রথমে ফরাসি অলাভজনক সংস্থা ফরবিডেন স্টোরি এবং অ্যাম্নেস্টি ইন্টারন্যাশনালের হাতে পৌঁছয়। তারাই ঘনিষ্ঠ ১৬ জন সংবাদ মাধ্যমকে হস্তান্তর করে সেই নথি।
যদিও মোবাইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে এই নথি চুরি হয়েছে কিনা, তার কোনও প্রমাণ মেলেনি। একমাত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মোবাইলের ফরেন্সিক পরীক্ষার মাধ্যমে সেই সত্যতা প্রমাণিত হবে।
এদিকে, সর্বভারতীয় সেই সংবাদ সংস্থা দাবি করেছে, অভিষেকের ব্যক্তিগত সচিবের ফোনেও আড়িপাতা হয়েছিল। এই তালিকায় প্রশান্ত কিশোরের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের নামও থাকতে পারে। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভোট উপদেষ্টা হিসেবে যারা কাজ করেছিলেন, তাঁদের অনেকের ফোন নম্বর এই তালিকায় থাকতেই পারে। এমনটাই তৃণমূলসূত্রে আশঙ্কা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন