ফের ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দু'দিনের ঝটিকা সফরের প্রথম দিনে ত্রিপুরার শাসকদল বিজেপিকে তুলোধনা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ''বিপ্লব দেব দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। আমাকে জব্দ করতে গিয়ে ভগবানকেও ছাড়ছে না। ত্রিপুরায় তৃণমূল বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বে না।'' রবিবার আগরতলার চতুর্দশা মন্দিরে পুজো দিয়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি এমনই বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলায় তৃতীয়বার ক্ষমতা দখলের পরেই পড়শি রাজ্য ত্রিপুরায় নজর তৃণমূলের। ত্রিপুরায় বিপ্লব দেব নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে আইনের শাসন পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ বাংলার শাসকদলের। তবে ত্রিপুরায় সংগঠন সাজাতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে তৃণমূলকে। এর আগেও অভিষেকের ত্রিপুরা সফরে তুমুল অশান্তি হয়। একাধিক এলাকায় বিক্ষোভ, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ত্রিপুরায় তৃণমূলের সংগঠন তৈরি করার কাজে প্রতিনিয়ত 'বাধা' আসছে বলে অভিযোগ জোড়াফুল নেতৃত্বের। ত্রিপুরায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তবে আক্রমণ হলেও লড়াইয়ের ময়দানে বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমিও ত্রিপুরায় ছাড়া হবে না বলে ফের একবার হুঁশিয়ারি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের।
রবিবার সকালে ত্রিপুরায় পৌঁছে প্রথমেই আগরতলার চতুর্দশা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক পৌঁছতেই মন্দির চত্বরের আশেপাশে বাজতে থাকে 'জয় শ্রীরাম' গান। এমনকী বিজেপিতে থাকাকালীন বাবুল সুপ্রিয়র কণ্ঠে রেকর্ড করা 'এই তৃণমূল আর না' গানও বাজতে শোনা গিয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হেনস্থা করতেই এই উদ্যোগ বিজেপির, এমনই অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুলে সোচ্চার তৃণমূল নেতা।
আরও পড়ুন- নবান্নের জন্যই বাংলায় কোভিডের বাড়বাড়ন্ত, শুভেন্দুর নিশানায় মমতা সরকার
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ''নতুন বছরের শুরু। এই মন্দিরে আসতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য বলে মনে করছি। ত্রিপুরাবাসীর মঙ্গল কামনা করছি। ত্রিপুরায় তৃণমূল বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বে না। সন্ত্রাস হলেও নির্বাচনে ভাল ফল করেছে তৃণমূল। প্রার্থীরাই ভোট দিতে পারেননি। তাও আমরা রাজ্যে ২৪ শতাংশ ভোট পেয়েছি। আগরতলায় তৃণমূল ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছে।''
তাঁর মন্দিরে যাওয়ার পরেই আশেপাশের এলাকায় 'জয় শ্রীরাম' ও 'এই তৃণমূল আর নয়' গান বাজানো প্রসঙ্গে অভিষেক এদিন বলেন, ''বিপ্লব দেব দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। আমাকে জব্দ করতে গিয়ে ভগবানকেও ছাড়ছে না। যাঁরা নিজেদের হিন্দুধর্মের ধারক-বাহক মনে করেন, তারা আমাকে বাধা দিতে মন্দিরের আশেপাশে ডিজে বাজাচ্ছেন।''