তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল জলবাতাসা, গুড়বাতাসা ছেড়ে কিছু দিন ধরেই পাঁচনের দাওয়াইয়ের কথা বলে চলেছেন। বিজেপির রথযাত্রা যত এগিয়ে আসছে, তত পাঁচনের প্রয়োজন বলে হুঙ্কার ছাড়ছেন। তা বিজেপিও এবার পাল্টা ওষুধ তৈরি করে ফেলেছে। বিজেপির রাজ্য সাধারন সম্পাদক সায়ন্তন বসুর দাওয়াই, পাঁচনের পরিবর্তে বড়ি। এরই মধ্যে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এক সভায় দলের নেতা-কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, "ফেসবুকে নয়, মাঠে ময়দানে এসে রাজনীতি করুন। কাপুরুষ হলে দল ছেড়ে দিন।"
বীরভূমের তারাপীঠ থেকে ৫ ডিসেম্বর রথযাত্রা সূচনার কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু অন্য রাজ্যে নির্বাচনের কর্মসূচি থাকায় ওই দিন ব্যস্ত থাকবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তারপর ভোটগণনা রয়েছে। নানা কারণে তারাপীঠে রথযাত্রার উদ্বোধন হবে ১৪ ডিসেম্বর। এর আগে ৩ ডিসেম্বর বামাক্ষ্যাপার সাধনা ক্ষেত্র থেকে রথ ছাড়ার কথা ছিল। এই রথের পাল্টা হিসাবে বীরভূমে খোল-খঞ্জনি নিয়ে পদযাত্রা করবে তৃণমূল কংগ্রেস। এই কর্মসূচি আগেই ঘোষণা করেছিলেন অনুব্রত মন্ডল। যদিও পরে ১৬ নভেম্বর বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়ে দেন, রথযাত্রার পাল্টা হবে 'পবিত্র যাত্রা'। কিন্তু এসব সত্ত্বেও পাঁচনের হুঙ্কার থেকে সরে আসেননি অনুব্রত।
এদিনও তিনি বলেন, "সব ঠিক করে দেবে পাঁচন। চার জায়গায় বাড়ি পড়লে সব ঠিক হয়ে যাবে।" অনুব্রতর হুঙ্কারে বিজেপি যে ভীত নয়, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন সায়ন্তন বসু। তাঁর পাল্টা হুঁশিয়ারি, "যত পাঁচন দেবে, তত বড়ি খাওয়াব। পাঁচন দিলে আমরাও বড়ির ব্যবস্থা করব। কোনও অসুবিধা নেই।"
এদিকে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, "যারা নেতৃত্ব দিচ্ছি, আমরাই যদি ভয় পাই, তাহলে পরিবর্তন হবে না। জেলা সভাপতিরা ভয় পেলে বাড়িতে বসে থাকুন। দম থাকলে সামনে এস দল করুন। কাপুরষরা সমাজে পরিবর্তন আনতে পারেন না। দলের কিছু লোক রয়েছেন, যাঁরা ফেসবুকে প্রতিবাদ করছেন। এই প্রতিবাদের দরকার নেই। মাঠে ময়দানে থাকতে হবে। না হলে আবর্জনা হিসাবে গণ্য হবেন।"