পরতে পরতে নাটক। দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভের কথা কাঁদতে কাঁদতে জানিয়েছিলেন ডানকুনির তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু মিত্র। ঘোষণা করেছিলেন দলে 'অপমানিত' হওয়ায় গেরুয়া শিবিরের নাম লেখাবেন তিনি।
এরপর বিজেপির সভাস্থলে দলবল দিনে পৌঁছে গিয়েছিলেন ডানকুনির বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর। কিন্তু তারপরই নাটকীয় পট পরিবর্তন ঘটে। বিজেপির মঞ্চে উঠেও গেরুয়া শিবিরে যোগ না দিয়ে ফিরে যান কৃষ্ণেন্দু মিত্র। এই ঘটনায় তখন তুমুল উত্তেজনা পদ্ম বাহিনীর সভায়। প্রশ্ন ওঠে কেন বিজেপিতে যোগ দিতে এসেও পদ্ম পতাকা হাতে নিলেন না ডানকুনিতে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠাতা কৃ্ষ্ণেন্দুবাবু।
ডানকুনি পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশিষ মুখোপাধ্যায় তৃণমূল ছেড়ে আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কৃষ্ণেন্দু মিত্রকেও নিয়েও জল্পনা ছিল। বৃহস্পতিবার ডানকুনিতে বিজেপি যোগদান মঞ্চে কৃষ্ণেন্দু গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে পারেন, এই খবর পান তৃণমূল বিধায়ক স্বাতী খন্দকার।
এরপরই কালবিলম্ব করেননি শাসক দলের বিধায়ক স্বাতী। জানা গিয়েছে, বিজেপির সভায় যাওয়ার আগেই কৃষ্ণেন্দুবাবুকে ফোন করেন দলের বিধায়ক। স্থানীয় স্তরে সংগঠনের কাজে কৃষ্ণেন্দু মিত্রের গুরুত্বের কথা তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেন স্বাতী খন্দকার। তাঁকে বিজেপিতে যোগ দিতেও নিষেধ করেন বিধায়ক। ফোনে বিধায়কের কথা শুনে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। কেঁদে ফেলেন প্রাক্তন কাউন্সিলর।
এই ঘটনার জেরেই কৃষ্ণেন্দুবাবু গেরুয়া মঞ্চে গেলেও বিজেপিতে যোগ না দিয়েই চলে আসেন বলে দাবি তৃণমূলের। তবে বিজেপি সূত্রে খবর, যোগ দানের সময় মঞ্চে বক্তব্য রাখার দাবি জানিয়েছিলেন কৃষ্ণেন্দু মিত্র। আর তা না হতেই বেঁকে বসেন তিনি। যদিও পদ্ম শিবিরের তরফে এই ঘটনাকে 'প্রাক্তন কাউন্সিলরের 'ব্যক্তিগত' বলেই জানানো হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন