নিমতায় তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনায় এক বিজেপি নেতা-সহ ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হুগলির উত্তরপাড়া থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত বিজেপি নেতা সুমন কুণ্ড ও সুজয় দাস। সুমন নিমতারই এক বিজেপি নেতা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। অপর ধৃত সুজয়ের বাড়ি মুর্শিদাবাদে। ধৃতদের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ নিমতার পাটনা ঠাকুরতলা এলাকায় প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতা নির্মল কুণ্ডুকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন নির্মল। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। প্রসঙ্গত, এদিন ভোররাতে বিজেপি কর্মী সুমন কুণ্ডুর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে পাল্টা অভিযোগ করেছে বিজেপি।
West Bengal: Nirmal Kundu, a TMC President of Ward 6 of Dum Dum Municipality area under Nimta Police Station limits was shot dead last night by three bike-borne assailants. pic.twitter.com/aclojGcWUJ
— ANI (@ANI) June 5, 2019
আরও পড়ুন: খুনের পর মৃতদেহের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক? কালনার সিরিয়াল কিলিং-এর তদন্তে পুলিশ
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুনের ঘটনায় স্থানীয় দুই দুষ্কৃতীর নামও উঠে আসছে। এ ঘটনায় ওই দুই দুষ্কৃতীর কোনও যোগ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহত তৃণমূল নেতা কয়েকদিন আগে অসামাজিক কাজের প্রতিবাদ করেন। নির্মলের অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েকজন দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করে পুলিশ। সেসময়ই নির্মলকে তারা হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। গতকাল সন্ধ্যায় নিমতার ওই এলাকায় দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে নির্মল কুণ্ডুকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। বাইকে করে এসে দুষ্কৃতীরা খুব কাছ থেকে খুন করে চম্পট দেয় বলে জানা গিয়েছে। দমদম পুরসভার ৬নং ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি নির্মল।
এ ঘটনায় বিজেপিকে নিশানা করে তৃণমূল নেতা মদন মিত্র বলেছেন, ‘‘যে নোংরা খেলায় নেমেছে বিজেপি, তার মাশুল দিতে হবে। রাজনৈতিক কর্মী হয়ে খুনের বদলা খুন বলব না, মানুষ সব ঘটনা দেখে, সিদ্ধান্ত নিতে বদ্ধপরিকর। এটা বন্ধ করার জন্য যা করতে হবে, তা করতে হবে’’। দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের অভিযোগ, ‘‘বিজেপির মদতপুষ্ট সমাজবিরোধীরা এটা করেছে। অনেকদিন ধরেই পুলিশকে বলা হচ্ছিল বরিহাগতরা আসছে এলাকায়, পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি’’। সৌগত আরও বলেন, ‘‘নির্মল আমাদের দলের স্তম্ভ। ওঁর মৃত্যুতে দলে অপূরণীয় ক্ষতি হল’’।
অন্যদিকে, খুনের ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে ঝগড়া করছে, বিজেপির নাম জুড়ে দেওয়া হচ্ছে’’।