আবারও রক্ত ঝরল বাংলায়। মুর্শিদাবাদের নওদায় তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। সোমবার সন্ধ্যায় নওদায় টুঙ্গি গ্রামে দলীয় কার্যালয়ে তৃণমূল নেতা নিমাই মণ্ডলকে খুব কাছ থেকে গুলি করে কয়েকজন দুষ্কৃতী চম্পট দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে কী কারণে এই খুন, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুন বলে দাবি নিহতের পরিবারের। ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধেয় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি নিমাই মণ্ডল টুঙ্গি গ্রামে দলীয় কার্যালয়ে বসেছিলেন। আচমকা কয়েকজন কালো পোশাক পরে এসে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। নিমাই মণ্ডলের পাশে কয়েকজন বসেছিলেন। তাঁরা দুষ্কৃতীজের বাধা দিতে গেলে, তাঁদের ঠেলে ফেলে দেওযা হয় বলে অভিযোগ। খুব কাছ থেকে নিমাইকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। নিমাইয়ের মৃত্যু নিশ্চিত জানার পরই ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
আরও পড়ুন: ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হবেন, ৮ কোটি টাকা চুরির দায়ে’, বিস্ফোরক মুকুল রায়
কী কারণে খুন করা হল নিমাই মণ্ডলকে? এ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। নিহতের পরিবারের দাবি, খুনের পিছনে আক্রোশ রয়েছে। দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন নিহত তৃণমূল নেতার মেয়ে। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘‘কয়েকজন কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে এসেছিল, তারপরই নিমাইকে লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে গুলি চালায়। আমি আটকানোর চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু পারিনি। নিমাইয়ের সঙ্গে কারও কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না। রাজনৈতিক কারণে খুন হতে পারে’’।
আরও পড়ুন: ‘বৈশাখী গেলে যাক, দেবশ্রীকে বিজেপিতে নিন’
এ ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান বলেন, ‘‘তৃণমূলকে শেষ করতে কংগ্রেস-বিজেপি মিলে এলাকায় একের পর এক খুন-জখমের কাণ্ড ঘটিয়ে চলেছে। তবে এভাবে মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের ক্ষতি করা সম্ভব নয়। এই খুন চক্রান্ত করে করা হয়েছে’’। এদিকে, এ ঘটনায় তৃণমূলের পাল্টা বিজেপি জেলা জেলা সভাপতি গৌরী ঘোষ বলেন, ‘‘এটা তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ের জের ছাড়া আর কিছু নয়’’।
অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের কদমতলা বাজারে তৃণমূল কার্যালয়ে ঢুকে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূলের যুব নেতা বিনোদ সিং। এ ঘটনায় জখম হয়েছেন দীপক বসু নামে আরেক ব্যক্তি।