বিজেপির ভার্চুয়াল জনসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন 'রামের মুখে বামের' প্রশংসার কটাক্ষ করেন পার্থবাবু। এর আগে অমিত শাহর ভাষণের জবাব দিতে এক যোগে তিন তাবড় তৃণমূল নেতা অনলাইনে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। এদিন তৃণমূল ভবনে ফের অমিত শাহর ভাষণের উত্তর দিলেন দলের মহাসচিব সহ তিন নেতা।
আরও পড়ুন: তৃণমূল কি আগের থেকে এখন ভাল অবস্থায়, মুকুলের মন্তব্যে জল্পনা
ভার্চুয়াল জনসভায় বক্তব্যের সময় অমিত শাহ বলেছিলেন, তৃণমূলের থেকে বরং বামেদের শাসন ভালো ছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূলের মহাসচিব বৃহস্পতিবার বলেন, "অমিত শাহ আবার বাম আমলকে সার্টিফিকেট দিয়েছেন। বামেদের ৩৪ বছরের শাসনকালে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিজের জীবন বিপন্ন করে দলের কর্মী ও সাধারণের আত্মত্যাগ সার্থক করে রাজ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।"
দেখা গিয়েছে, তৃণমূলের বিরোধিতা করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই রাজ্যের বিরোধী নেতৃত্বের একাংশ একই সমালোচনা করেন। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বামেদের একটা বড় শতাংশের ভোট বিজেপিতে ট্রান্সফার হয়েছিল বলে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন। তাছাড়াও এদিন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতির অন্য বক্তব্যের বিরোধিতাও করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: বর্ধমানে খুন ‘তৃণমূলকর্মী’, ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?
অমিত শাহর বক্তব্যের অন্যতম মূল লক্ষ্য ছিল রাজ্যের সংস্কৃতিতে বদল আনা। একাধিকবার সোনার বাংলা গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "বহু অর্থ ব্যয় করে ভার্চুয়াল সভা করেছে বিজেপি। যিনি বাংলাকে সোনায় মুড়ে দেওয়ার কথা বললেন, তাঁর সামনেই বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হয়েছে। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে বাংলার সংস্কৃতি ধ্বংস করার চেষ্টা হয়েছিল। সেই মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওঁদের নেতা বলেন 'সহজ পাঠ' বিদ্যাসাগরের লেখা। বাংলার মানুষ এমন সংস্কৃতি চান না।"
আরও পড়ুন: নিঃস্ব পরিযায়ীরা নয়া ভোট ব্যাংক
পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে বিজেপির ভূমিকার সমালোচনা করলেন তিন তৃণমূল নেতাই। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আপনারা তথ্যপ্রমাণ দিয়ে দেখান, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কী করেছেন। একটা প্রতিশ্রুতিও রাখেননি।" এই বৈঠকেই রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কুম্ভীরাশ্রু বিজেপির। রাজ্য স্নেহের পরশ প্রকল্প চালু করেছে। কেন্দ্র পিএম কেয়ার তহবিল থেকে পরিযায়ী শ্রমিক প্রতি ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ব্যবস্থা করুক।" পরিযায়ী শ্রমিক প্রসঙ্গে তালডাংরার তৃণমূল বিধায়ক সমীর চক্রবর্তীর দাবি, "বিজেপি শাসিত রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে। সেখানে শ্রমিকদের ওপর লাঠি, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়েছে। আর বাংলা থেকে অন্য রাজ্যের শ্রমিকরা ফিরতে চাইছেন না।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন