আগরতলায় ধুন্ধুমার। গ্রেফতার যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। খুনের চেষ্টার অভিযোগে সায়নীকে গ্রেফতার করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। 'ভিত্তিহীন অভিযোগে গ্রেফতার সায়নী, বিজেপির নির্দেশে কাজ করছে পুলিশ। অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে সায়নীকে।' অভিযোগে সরব কুণাল ঘোষ। এদিকে সায়নীকে গ্রেফতার করতেই ত্রিপুরায় যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আক্রান্ত কর্মী-সমর্থকদের পাশে দাঁড়াতে একদিন আগেই ত্রিপুরায় যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আগামিকাল আগরতলায় তাঁর কর্মসূচি ছিল।
উল্লেখ্য, আগামিকালই ত্রিপুরা সফরে যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে আজ ধুন্ধুমার কাণ্ড বেধে যায় আগরতলায়। রবিবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ-সহ বেশ কয়েকজন নেত্রীকে আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় ডেকে পাঠানো হয়। তারপরই শুরু হয় উত্তেজনা।
অভিযোগ, বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা থানায় ঢুকে তাঁদের উপর হামলা চালায়। তৃণমূলের দাবি, থানার বাইরে লাঠি হাতে, হেলমেট পরে দাঁড়িয়ে ছিল বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। সায়নী এদিন থানায় ঢুকতেই হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা, এমনই অভিযোগ তৃণমূলের। তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
আরও পড়ুন- নির্লজ্জ বিপ্লব দেব! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকেও পাত্তা দিচ্ছে না: অভিষেক
এর আগে আজ সকালে আগরতলার একটি হোটেলে হানা দেয় পুলিশ। সায়নীকে থানায় নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দেন কুণাল ঘোষ। সায়নীকে থানায় নিয়ে যাওয়ার নোটিস দেখতে চান কুণাল। পুলিশের সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কি হয় কুণাল ঘোষের। পুলিশের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সভা চলাকালীন বিজেপি সমর্থকদের উত্যক্ত করেন সায়নী। যদিও পুলিশের সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে পাল্টা দাবি করেছেন সায়নী ঘোষ-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। শেষমেশ গ্রেফতারকরা হয়েছে সায়নী ঘোষকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন