Advertisment

বর্ধমান শহরে তৃণমূল কর্মী খুন, গ্রেফতার বিধায়ক ঘনিষ্ঠ দলীয় পদাধিকারী

বেআব্রু শাসক দলের কোন্দল। বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলরের নিশানায় দলেরই বিধায়ক ও সাধারণ সম্পাদক।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
tmc leader shib sankar ghosh arrested on burdwan town tmc worker ashok majhi murder case

ডানদিক থেকে দ্বিতীয় ধৃত শিবশংকর ঘোষ।

গত মঙ্গলবার বর্ধমান শহরে মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী অশোক মাঝির। এই ঘটনায় বেআব্রু হয়ে পড়ে শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল। বর্ধমান পুরসভায় প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর এই মৃত্যু জন্য সরাসরি দায়ী করেন দলীয় বিধায়ক (বর্ধমান দক্ষিণ) খোকন দাস ও তাঁর অনুগামী তথা বর্ধমান শহরের তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক শিবশংকর ঘোষকে। দায়ের হয় এফআইআর। অশোক মাঝির মৃত্যুর ঘটনায় বুধবারই পুলিশ তিন মহিলা সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছিল। এবার পুলিশের জালে বর্ধমান শহরের তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক শিবশংকর ঘোষ।

Advertisment

বর্ধমান পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর মহম্মদ সেলিমের অভিযোগ, গত মঙ্গলবার দুপুর টে নাগাদ তিনি পৌরসভা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে খালাসীপাড়া এলাকায় সশস্ত্র অবস্থায় থাকা ৫০-৬০ জন অতর্কিতে তাঁর উপর হামলা চালায়। তাঁকে মারছে দেখে খালাসীপাড়ার দলের কর্মী অশোক মাঝি ও তাঁর স্ত্রী চন্দনা মাঝি ছুটে আসেন। তাঁদের উপরও হামলা হয়।

মহম্মদ সেলিমের কযা, "আক্রমণকারীদের হাত থেকে নিজেকে কোনরকমে বাঁচাতে সক্ষম হই। তবে হামলাকারীরা নির্মমভাবে অশোক ও তাঁর স্ত্রীকে মারধন করে। রক্তাত অবস্থায় অসোক ঘটনাস্থলেই পড়ে ছিল। পরে তাঁদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সন্ধ্যায় তৃণমূলকর্মী অশোক মাঝির মৃত্যু হয়।"

আরও পড়ুন- বিধায়ক জনতার নেতা, উন্নয়নের কাজে ভেদাভেদ চলবে না, ফের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

হামলাকারীরা সকলে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস সহ তৃণমূল নেতা শিবশংকর ঘোষ, আব্দুল রব , ইফতিকার আহমেদের অনুগামী বলে অভিযোগ দলের বিদায়ী কাউন্সিলরের। ঘটনার তদন্তে ১০ জনের বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের স্ত্রী। এরপরই অভিযুক্তদের সন্ধান শুরু করে পুলিশ। বুধবারই খালাসিপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় টুম্পা দাস, শেফালি বিবি, পপি বেগম ও বাবলু বাগকে।

ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পর এবার পুলিশের জালে বিধায়ক খোকন দাস ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা শিশংকর ঘোষ।
পুর প্রশাসক মণ্ডলী গঠনের পরই বারে বারেই বর্ধমানে প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। উপ মুখ্য প্রশাসক পদে আইনুল হককে মানতে নারাজ তৃণমূল বিধায়ক ও তাঁর অনুগামীরা। এরপর থেকেই গোষ্ঠী কোন্দল চরমে পৌঁছায়।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tmc west bengal politics East Burdwan
Advertisment