আবারও প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ। তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। শুক্রবার রাতে দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে নারায়ণপুরে ইনসান মল্লিককে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। তবে এ ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ করেছেন নিহত তৃণমূল নেতার ভাই। নিহত ইনসান মল্লিক কালনা ১ নং ব্লকের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ পদে ছিলেন। উল্লেখ্য, এর আগেও তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছিল বলে দাবি করেছেন নিহতের ভাই।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, রাতে পার্টি অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎই ইনসানকে লক্ষ্য করে দু’জন দুষ্কৃতী বাইকে করে এসে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন ইনসান মল্লিক। অবস্থা বেগতিক বুঝে চম্পট দেয় দুই বাইক আরোহী। গুলির শব্দ শুনে কর্মীরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতা মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়। কলকাতায় যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় ইনসানের।
আরও পড়ুন: রাতে মন্ত্রীর ফোন বৈশাখীকে, ‘তুমি আছ বলেই লড়তে পারছ’
ঠিক কী অভিযোগ?
এ প্রসঙ্গে নিহত তৃণমূল নেতার ভাই রাজীব মল্লিক বলেন, ‘‘দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে দাদাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। পরে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পথে দাদা মারা যায়’’। এরপরই রাজীবের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিজেপির হাত নেই। সকলে জানেন এটা। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বহুদিন ধরে একের পর এক নেতাকে প্রাণ হারাতে হচ্ছে। ৬ মাস আগেও দাদার উপর হামলা হয়েছিল। তখন কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। প্রতিহিংসা থেকেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। অপরাধীদের কঠোর সাজা চাই’’। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তাঁর অভিযোগ, দলের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ইতিমধ্যেই এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।