যাঁর নাম শুনলে বীরভূমে বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খায় বলে প্রবাদ হয়ে গিয়েছে, তাঁকেই হুমকি দিলেন গুসকরার এক তৃণমূল নেতা। গুসকরা পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে আউসগ্রাম থানার পুলিশ। গ্রেফতারের পর পুলিশের সামেনই ফের বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে হুমিক দিলেন নিত্যানন্দবাবু। তাঁর হুঙ্কার, "কেষ্ট মণ্ডলের জামার কলার ধরে টাকা আদায় করব। তাঁর কাছে আমার ২০ লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে।" কেষ্ট মণ্ডলকে আউসগ্রামের তৃণমূল নেতার হুঁশিয়ারিতে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন- “অতীত ভুললে ভবিষ্যৎ অন্ধকার”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
গুসকরার ইঁটাচান্দা গ্রামের বাসিন্দা শেখ সুজাউদ্দিনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এদিন পূর্ব বর্ধমানের গুসকরার স্কুল মোড় থেকে তৃণমূল নেতা নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে আউসগ্রাম থানার পুলিশ। এদিন পুলিশের গাড়িতে বসেই ফের হুমকি দেন অনুব্রত মণ্ডলকে। তিনি নিজেই জানিয়ে দেন, "কেষ্ট মণ্ডলকে(অনুব্রত মণ্ডল কেষ্ট মণ্ডল নামেই অধীক পরিচিত) টাকা না পেলে গুলি করে মারব বলে হুমকি দেওয়ায় আমাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।"
আরও পড়ুন- দুর্গাপুজোর আগেই কলকতায় সিঁদুর খেলায় বিদায় মোদী সরকারের
গুসকরার এই তৃণমূল নেতা বলেন, "কেষ্ট মণ্ডলের স্ত্রীর ক্যানসার হয়েছিল। রাজারহাটে ক্যানসার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তখন আমার কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন। আমিও বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে দিয়েছিলাম। তখন বলেছিলেন, নিতাইদা তিন চার মাসের মধ্যে টাকাটা দিয়ে দেব। এখন বলছে টাকা দেব না। কী প্রমান আছে? আমার কাছে টাকা দেওয়ার সব প্রমান আছে। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সীর কাছেও যাব। আমি হুমকি দিয়েছিলাম টাকা না দিলে গুলি করে মেরে দেব। যত বড় নেতা হোক টাকা নিয়েছে ওকে ফেরত দিতেই হবে। টাকা আদায় করেই ছাড়ব।"
তবে এখানেই থামেননি নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়। পুলিশের পাশে বসেই তাঁর হুমকি, "জামিন পেলেই কেষ্ট মণ্ডলের কলার ধরব। কলার ধরে টাকা আদায় করব। ও নিজেকে মুখ্যমন্ত্রীর ওপরে ভাবছে। লজ্জা থাকা উচিত কেষ্ট মণ্ডলের।" তাঁর অভিযোগ, "হাটে মাগুর মাছ কাটত। হাজার কোটি টাকার মালিক হল কী করে? তাঁর মেয়ে এক সঙ্গে দুটো চাকরি পেল কী করে? এ বিষয়ে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন