বঙ্গ বিজেপি অনেক আগেই অভিযোগ করেছিল কলকাতায় তাঁদের নেতৃত্বকে করোনা আবহে সাধারণ মানুষকে সাহায্য় করতে বাধা দিচ্ছে পলিশ। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুকে হেনস্থা করা হয়েছে বলেও দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। এদিকে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লাকে পুলিশ গৃহবন্দি করে রেখেছে বলে দাবি করেছেন খোদ ওই সাংসদ। জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়কেও গৃহবন্দি করে রেখেছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে বিজেপি।
বিজেপির রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের অভিযোগ,"আমাদের দলের দুই সাংসদ আলিপুরদুয়ারের জন বার্লা ও জলপাইগুড়ির জয়ন্ত রায়কে গৃহবন্দি করে রেখেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। লকডাউন পরিস্থিতিতে যাতে সাধারণ মানুষকে সাহায্য় করতে না পারে তার জন্য় এভাবে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। অনাহারক্লিষ্ট মানুষের পাশে দাঁড়াতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ।"
লকডাউনে সাধারণ মানুষের এখন মরণ-বাঁচন লড়াই। পকেটের অর্থ শেষ। অনেকের ঘরে পর্যাপ্ত খাবার নেই। গরিব-গুর্বো মানুষগুলের চেয়েচিন্তে দিন চলছে। রাজু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের অভিযোগ, "বিজেপি সাংসদ, নেতা-কর্মীদের কোনও কাজ করতে দিচ্ছে না পুলিশ। অন্য় দিকে এই প্রশাসন তৃণমূলের মন্ত্রী থেকে ছোট-বড়-মাঝারি নেতা, কাউন্সিলর থেকে শুরু করে বিধায়ককে পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি যেতে দিচ্ছেন। এই সংকটের সময় নিজের দলের প্রচারের কাজ যাতে তাঁরা করতে পারেন তার সুবন্দ্য়োবস্ত করছেন। প্রশাসন তৃণমূলের নেতাদের তাবেদারীতে ব্যস্ত।"
জানা গিয়েছে, বুধবার ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি থেকে জলপাইগুড়ি ফিরছিলেন সাংসদ জয়ন্ত রায়। পথে রাজগঞ্জ ব্লকের জটিয়াখালি এলাকায় তার গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশ ওই সাংসদকে জানিয়ে দেয় লকডাউনের সময় এভাবে চলাচল করা যাবে না। অগত্য়া তিনি গাড়ি ঘুরিয়ে শিলিগুড়ি ফিরে যান। তিনি দুদিন ধরে গৃবন্দি। অন্য় দিকে জন বার্লা চার দিন ধরেই গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন