পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীদের কয়েক যোজন পিছনে ফেলে গ্রাম বাংলায় ক্ষমতা বহাল রেখেছে শাসকদল। ভোট মিটতে না মিটতেই, এবার দলীয় সংগঠনকে আরও মজবুত করতে তৎপর হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে লোকসভা ভোটের প্রস্তুতির কথা। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটই যে শাসকদলের পাখির চোখ, তার আন্দাজ অবশ্য মিলেছে চলতি বছরের শুরুতেই। লোকসভা নির্বাচনে মোদি বাহিনীকে হঠাতে খবরের শিরোনামে এসেছে ফেডারেল ফ্রন্ট। আর এই উদ্যোগের অন্যতম পুরোধা স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটই যে এই মুহূর্তে তৃণমূল নেতৃত্বের প্রধান মাথাব্যথা, তার আভাস মিলল এবার। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের ঘুঁটি সাজাতে দলে রদবদল করার কথা ভাবছে রাজ্যের শাসকশিবির। শুধু দলই নয়, মমতার মন্ত্রিসভাতেও রদবদল আনা হতে পারে বলে সূত্র মারফৎ জানা গেছে।
রাজ্যের মন্ত্রিসভার পাশাপাশি তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বেও আগামী দিনে বদল আনা হতে পারে বলে খবর। তৃণমূলস্তরে উন্নয়নের পাশাপাশি দলীয় সংগঠনকে আরও চাঙ্গা করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে শাসকবাহিনী। এমনকি, পঞ্চায়েত ভোটে যে সব জায়গায় বিরোধীরা, বিশেষত বিজেপি মাথাচাড়া দিয়েছে, সেখানে দলের অবস্থা পর্যালোচনাতেও জোর দেওয়া হচ্ছে। তবে সবটাই লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই করা হচ্ছে বলে খবর।
আরও পড়ুন, বাংলায় সাম্প্রদায়িকতার কোনও জায়গা নেই: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘আমরা পঞ্চায়েত ভোটে খুব ভাল ফল করেছি। এখন লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি সারতে হবে।’’ ওই নেতা আরও বলেন যে, দলে কিছু রদবদলের কথা ভাবা হচ্ছে, পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কাজে জোর দিতে ভাবা হচ্ছে মন্ত্রিসভাতেও কিছু বদলের কথা। অন্য একটি সূত্র মারফৎ জানা গেছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই মন্ত্রিসভা ও দলে রদবদল করা হতে পারে। মমতার মন্ত্রিসভা থেকে কয়েকজনকে সরানো হতে পারে বলেও খবর। একইসঙ্গে রদবদল করা হতে পারে কয়েকজন মন্ত্রীর দফতরও।
আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত ভোট: প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য অপ্রত্যাশিত, বললেন মমতা
সূত্র মারফৎ জানা গেছে, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার দায়িত্ব থেকে কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সরানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।