কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে নির্দল কাঁটা নির্মূল করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। দুয়ারেই রয়েছে রাজ্যে শতাধিক পুরসভার নির্বাচন। প্রার্থী হওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই দলের অভ্যন্তরে তুলকালাম চলছে। নানা প্রার্থী তালিকা ঘুরে বেরাচ্ছে রাজ্যজুড়েই। জেলা থেকে কলকাতায় দৌড়-ঝাঁপ বেড়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্বের। এই আবহে দলের অভ্যন্তরীণ কলহ দূরে সরিয়ে রাখতে নির্দেশ দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Advertisment
বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সাংগঠনিক নির্বাচনে নেতা-কর্মীদের কড়া বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি, 'পরস্পরের সঙ্গে দ্বন্দ্ব করবেন না। দল ছাড়া কিছুই নেই। দল একটাই, তৃণমূল। চিহ্নটা জোড়াফুল।' নজর ২০২৪ হলেও নানা প্রসঙ্গ তুলে বাংলায় দলকে মজবুত করতে এদিন একাধিক দিশা দিতে চেয়েছেন তৃণমূলনেত্রী।
এদিন বক্তব্যের মাধ্যমে নানা ভোকাল টনিক দেওয়ার কোনও ত্রুটি রাখেননি তৃণমূল কংগ্রেসের নবনির্বাচিত চেয়ারপার্সন। এর আগে ২০১৯-এ তৃণমূল কংগ্রেস ৪২-এ-৪২ প্রচারে ঝড় তুলেছিল। নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার পর দেখা যায় বিজেপি ১৮টি লোকসভার আসন দখল করে। তৃণমূলের ভাঁড়ারে জোটে ২২টি আসন। বাকি দুটিতে জয় পায় কংগ্রেস। এদিন নতুন করে তৃণমূলনেত্রী উদ্বুদ্ধ করেন। ফের ২০২৪-কে লক্ষ্য রেখে তিনি ঘোষণা করেছেন ৪২-এ-৪২।
সামনে রাজ্যের শতাধিক পুরসভার নির্বাচন। টিকিটের আশায় রয়েছে দলের নানান স্তরের নেতৃত্ব। কে টিকিট পাবেন কে পাবেন না তা নিয়ে চলছে চুলচেরা কাঁটাছেড়া। ইতিমধ্যে বনগাঁ, বর্ধমান পুরসভার দলীয় নেতৃত্বের ছাপানো প্যাডে প্রার্থী তালিকা ঘুরছে নানা মহলে। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিড়ম্বনা বেড়েছে তৃণমূলের। সেই পরিস্থিতিতে হুঁশিয়ারির সঙ্গে ভোকাল টনিক দিলেন দলনেত্রী।
মমতার কথায়, 'দলটাকে মজবুত করে গড়ে তুলুন। সারা ভারত থেকে বিজেপি হঠান। বাংলা থেকে সিপিএমকে হঠাতে পারলে বিজেপিকেও সরাতে পারবে। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। গান্ধি বাংলা থেকে আন্দোলন করেছে। তৃণমূলনেত্রীর স্পষ্ট দাবি, 'তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া দেশে এখন এমন কোনও দল নেই যে লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে।'