মদন মিত্রকে এবার শোকজ করতে পারে তৃণমূল। দলীয় সূত্রে এমনটই জানা গিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে মদন মিত্রের পরপর কিছু মন্তব্য বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মদনের মতো একজন সিনিয়র নেতার এই ধরনের মন্তব্যে জোড়াফুল শিবিরে অস্বস্তি বেড়েছে। মদন-বাণে দলের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মনে করছেন শীর্ষ নেতারা। আগে এব্যাপারে নাকি মৌখিকভাবেও তাঁকে সতর্ক করে দল। কিন্তু এত সবের পরেও মন্তব্য করা থেকে দূরে থাকেননি মদন। এবার তাই মদন মিত্রকে শোকজ চিঠি পাঠানো হতে পারে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে পুরোদস্তুর তৈরি মদনও। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে তিনি জানান, দল কিছু জানতে চাইলেই তিনি জবাব দেবেন।
Advertisment
উল্লেখ্য, গতকাল মদন মিত্র বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যারের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, এছাড়া আর কোনও মুখ নেই। বাকিরা কেউ গোটা, কেউ মোটা, কেউ সোটা।" মদন মিত্রের এই মন্তব্য নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়। দলের অন্দরেই বাড়তে থাকে জল্পনা। মদন কি দলের কোনও নেতাকে উদ্দেশ্য করে এই কটূক্তি করলেন? গুঞ্জন ছড়ায় রাজনৈতিক মহলে। যা নিয়ে টিপ্পনি কাটতে ছাড়েনি বিরোধীরাও। গোটা ঘটনায় শাসক শিবিরে অস্বস্তি যথেষ্ট বেড়েছে।
মদন মিত্রকে এবার তাই শোকজ চিঠি পাঠাতে পারেন দলের নেতারা। কেন বারবার এই ধরনের মন্তব্য করে দলকে বিড়ম্বনায় ফেলছেন মদন? জানতে চাইতে পারেন দলের শীর্ষ নেতারা। এদিকে, গতকাল রাতেই ফেসবুকে তাঁর আগের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে আরও একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন মদন মিত্র। সেই ভিডিওতে মদন বলেন, ''সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেছিলেন, পৃথিবীতে সবচেয়ে জনপ্রিয় আমার চোখে কে? আমি বলেছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি নেক্সট অভিষেকের নাম বলেছি। তারপরই আমার মুখ থেকে কেউ মোটা, কেউ গোটা, কেউ সোটা বেরিয়ে গিয়েছে। এই কথা বলার জন্য আমি সমস্ত নেতৃত্বের কাছে কড়জোড়ে ক্ষমা চাইছি।''
তবে মদনের ক্ষমা প্রার্থনাতেও যে চিঁড়ে ভেজেনি তা স্পষ্ট। দলীয় সূত্রে খবর, এবার তাঁকে শোকজ চিঠি পাঠাতে পারে তৃণমূল। তবে মদনও চিঠির জবাব দিতে তৈরি। ইন্ডিয়ান এক্সপরেস বাংলাকে কারমাহাটির তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ''আমি জানি না তো কী হয়েছে। আমি কি কিছু খারাপ কথা বলেছি? দল এখনও কিছু জানতে চায়নি। জানতে চাইলে জানাব।''