Advertisment

মদের দোকানের লম্বা লাইন না পসন্দ মদন মিত্রের, ফেসবুকে লিখলেন, 'আমি কোন দলে!'

তাঁর আরও সংযোজন, ‘এক দিকে লাইন পড়েছে দোকানে। আর আমরা লাইন দিচ্ছি সেফ হোমে।’

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Lockdown in Bengal, Madan Mitra, Wine Shop, Safe Home, Ventilator, TMC MLA

মদের কালোবাজারি নিয়ে সরব তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। শনিবার মদের দোকানে লাইন দেখেই সেই বিষাদ বলে ইঙ্গিত করেছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। 'মদ' শব্দটি উচ্চারণ না করেই ফেসবুকে সরব হয়েছেন ‘দিশি’ মদের কালোবাজারি নিয়ে।

Advertisment

শনিবার ছিল অক্ষয় তৃতীয়া। তিনি জানান, ওই দিন করোনা চিকিৎসার জন্য সেফ হোম তিনিও তৈরি করেছেন। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষকে সাহায্য করছেন। অন্য দিকে, করোনা সংক্রমণ রুখতে রবিবার থেকে রাজ্যে লাগু কার্যত লকডাউন। আগামি ১৫ দিনের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বিপণী ও জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাকি সব বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

যার ফলে শনিবার মদের দোকানে সুরাপ্রেমীদের লম্বা লাইন দেখা যায়। যা নিয়ে সরগরম নেট দুনিয়াও। সেখানেই ফেসবুকে নিজের দুঃখের কথা প্রকাশ করেন মদন। সেখানে ‘দিশি’ ও ‘বিদেশি’-র কথা উল্লেখ করলেও সরাসরি মদের নাম উচ্চারণ করেননি তিনি।

শনিবার ফেসবুকে মদন মিত্র বলেন, ‘মানুষের খুব পছন্দের জিনিস। যার জন্য লাইন দিচ্ছে। রাস্তা দিয়ে আসতে আসতে দেখলাম কালোবাজারি হচ্ছে। ব্রিটিশের সময় আমরা বিদেশি বর্জন করেছিলাম। এখন অনেকে বিদেশি বর্জন করে দিশি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একশো টাকার দিশি এক-দেড় হাজার টাকায় কালোবাজারি হচ্ছে।’

 তাঁর আরও সংযোজন, ‘এক দিকে লাইন পড়েছে দোকানে। আর আমরা লাইন দিচ্ছি সেফ হোমে।’ মুখে না বললেও মদনের কথা থেকে পরিষ্কার এই মহামারির সময় তিনি সুরপ্রেমীদের লাইনকে তিরস্কার করছেন।

মদন বলেন, ‘আমাকে নিজেকে দেখে সন্দেহ হয় যে, আমি কোন দলে পড়ি। এটা ঠিক আমি মেনে নিতে পারছি না। যে লাইন দেখে এলাম, সত্যি ভাবছি মানুষ আর কুকুরের মধ্যে পার্থক্য কী?’

শনিবার শুধু ‘দিশি’ মদের কালোবাজারি নিয়ে সরব হননি তৃণমূল বিধায়ক। বেসরকারি নার্সিংহোমের কালোবাজারি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘নার্সিংহোমগুলো এখন যা ব্যবসা করছে গত একশো বছরেও এত ব্যবসা করেছে বলে আমার জানা নেই। কালোবাজারি হচ্ছে মানুষকে বাঁচানোর অক্সিজেন নিয়েও। রোগীকে ভেন্টিলেটরে রাখার নাম করেও লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়া হচ্ছে। রোগীর পরিজন দেখতে এলে ভেন্টিলেটরে রাখছে, চলে গেলে ওই রোগীকেই জেনারেল বেডে রাখা হচ্ছে। এমনকি রোগীর ব্রেন ডেথের পরেও তা করা হচ্ছে।’

Madan Mitra TMC MLA Lockdown in Bengal Wine Shop Safe Home Ventilator
Advertisment