‘বিপদে পড়েছে’ ভাই, তাই ফের পাশে দাঁড়ালেন দাদা মুকুল রায়। ‘ভাই’ সব্যসাচী দত্তের পাশে ‘দাদা’ মুকুল রায়ের দাঁড়ানোকে একেবারেই ভাল চোখে দেখেনি তৃণমূল নেতৃত্ব। এজন্য সব্যসাচীর দিকে ধেয়ে এসেছে ‘বেইমান-মীরজাফরের’ মতো তকমা। তবুও সব্যসাচী-মুকুলের ‘দাদা-ভাই’ সম্পর্ক অটুট। বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচীর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছে তৃণমূল। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে ভাইকে লড়াইয়ের কৌশল বাতলে দিলেন মুকুল রায়। আর সেই পরামর্শ দিতেই ফের সব্যসাচী দত্তের সল্টলেকের বাড়িতে পৌঁছে গেলেন মুকুল রায়। মমতার ডাকে তৃণমূল বিধায়কদের বৈঠকের আগেই নিজের ঘরে দাদা মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠক সারলেন সব্যসাচী দত্ত। যা ঘিরে আবারও শোরগোল পড়ে গেল বঙ্গ রাজনীতিতে।
আরও পড়ুন: ‘পিছন থেকে ছুরি মারি না’, মুকুলের সঙ্গে পরোটা-ফিশ কাটলেট খেয়ে দাবি সব্যসাচীর
কী কথা হয়েছে বৈঠকে?
সব্যসাচী দত্তের বাড়ি থেকে বেরিয়ে মুকুল রায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘সব্যসাচীর সঙ্গে সম্পর্কটা অন্যরকম, চিরদিনের সম্পর্ক। ১৮ জুলাই ওঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছে। কীভাবে কী হবে, তাই আলোচনা করতে এসেছি। লড়াইয়ের স্ট্র্যাটেজি বলে দিলাম’’। এদিনও সব্যসাচীর বিজেপিতে যোগদানের ব্যাপারে কার্যত এড়িয়ে গিয়ে মুকুল বললেন, ‘‘না, এরকম কোনও কথা হয়নি’’। এদিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ সব্যসাচীর বাড়িতে যান মুকুল। উল্লেখ্য, গত রবিবার সব্যসাচীর ডানা ছাঁটে তৃণমূল। বিধাননগর পুরনিগমের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়ের হাতে। সেদিন রাতেও সল্টলেকের ক্লাবে সব্যসাচীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুকুল। সব্যসাচীর পাশে বসে পরোটা-ফিশ কাটলেট খাওয়ার পর সেদিন মুকুল বলেছিলেন, ‘‘ওকে উপদেশ দেওয়া দাদা হিসেবে আমার কর্তব্য। একটা তো রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে। ওর কী করণীয়, কী কাজ করা উচিত, সে ব্যাপারে বিজেপি নেতা হিসেবে নয়, সব্যসাচীর দাদা হিসেবে ওকে উপদেশ দিলাম’’। সেদিনের পর আজও সব্যসাচীকে যেভাবে ‘পরামর্শ’ দিলেন মুকুল, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন: দলের এত টাকা আছে! প্রশান্ত কিশোর কোথা থেকে পেমেন্ট পাচ্ছেন, প্রশ্ন সব্যসাচীর
অন্যদিকে, আজই তণমূল ভবনে দলের বিধায়কদের বৈঠকে ডেকেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে যোগ দিতে পারেন নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর। দলনেত্রীর বৈঠকের আগে মুকুল রায়ের সঙ্গে সব্যসাচী দত্তের সাক্ষাৎ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে এদিন তৃণমূল ভবনে বৈঠকে সব্যসাচী যোগ দেন কিনা সেদিকে নজর থাকবে সব মহলের।