সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া মন্তেশ্বরের বিধায়ক সৈকত পাঁজা বাবার মৃত্যু নিয়ে গুরুতর অভিয়োগ তুলেছেন। ২০১৬ সালে তাঁর বাবা তৎকালীন মন্তশ্বেরর তৃণমূল বিধায়ক সজল পাঁজার দীঘাতে মৃত্যু হয়েছিল। সৈকতের দাবি, "ঘটনা পরম্পরায় আমার মনে হয়েছে বাবার মৃত্যু রহস্যজনক। ঘটনার তদন্তের প্রয়োজনে আমি এফআইআর করব। দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।"
কেন ঘটনার চার বছর পরে মনে হল বাবার মৃত্যু সন্দেহজনক? স্বাভাবিক মত্যু নয়, বাবাকে খুন করাও হতে পারে? সৈকত বলেন, "বাবার পোস্টমর্টেম হয়েছিল রাত দেড়টা-দুটো নাগাদ। যদিও আমাকে জানিয়ে করা হয়েছিল। আমি তখন বলেছিলাম বর্ধমানে নিয়ে এসে পোস্টমর্টেম করতে। তখন বলেছিল ওখানে নিয়ে যাবার অনেক ঝামেলা। তাছাড়া সদ্য বাবা মারা গিয়েছেন। আমি একটা অন্য মাইন্ড সেট-আপে ছিলাম। অত কিছু মাথায় আসেনি।
সম্ভবত পরিবহণ দফতরের স্ট্যান্ডিং কমিটির মিটিং ছিল দীঘায়। যে সময়ে বাবার মৃত্যুর কথা বলা হয়েছিল সেই ঘটনার ২০ মিনিট আগে বাবা আমাকে ফোন করে। অন্য এক তৃণমূল নেতাকে ৫ মিনিট আগে বাবা ফোন করেছিল। বাবার মুখ দেখে সন্দেহ হয়নি তা নয়। অনেকেই বলেছিল। আমি তখন বিষয়টাকে খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি। পরে মেদিনীপুরের কয়েকজন সরকারি আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে এবিষয়ে কিছু তথ্য পাই। তাতে বাবার মৃত্যু নিযে আমার সন্দেহ বাড়তে থাকে। আগামী দিনে বাবার মৃত্যু নিয়ে তদন্তের আবেদন জানাব। যদিও বিষযটা ব্যক্তিগত তবু একবার আমার দলের উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে নেব। খুনের মামলা রুজু করতে পারি।"
সন্দেহ করছেন কাউকে? সৈকত বলেন, "সন্দেহ তো নিশ্চয় আছে। সন্দেহের তালিকায় কে বা কারা তা এখনই বলতে পারছি না। ঘটনার পর মনে হয়েছিল। ঘটনাচক্রে করতে পারিনি। সেই সময়ও কিছু ফোন রেকর্ডিং বের করতে চেয়েছিলাম। তখন কোনও আধিকারিক আমাকে বলেছিলেন এসব বেকার করতে যেও না, ঘরে মা-ভাই আছে। তোমার কিছু হলে তাঁদের কে দেখবে? সেকথা শুনে আমি চুপ করে গিয়েছিলাম।একটা হুমকি ছিল। তখন একটা ক্লু পেয়েছিলাম। পরিবারের জন্য ভয় পেয়েছিলাম। মৃত্যুর ঘটনায় আমাদের ওপর অ্যাটাক হতে পারে। এখন আমার আর ভয় নেই।"
সম্প্রতি মেদিনীপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সভায় তৃণমূলে যোগ দেন সৈকত পাঁজা। ওই সভাতেই যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। দল ছাড়া প্রসঙ্গে সৈকত বলেন,"আমাকে দল ঠুঁটো জগন্নাথ করে রেখেছিল। আমি নামেই বিধায়ক ছিলাম। সাংগঠনিক বা প্রশাসনিক কাজ আমাকে করতে দেওয়া হয়নি।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন