পূর্বে ত্রিপুরা ও পশ্চিমে গোয়া। দেশের দুই প্রান্তের এই দুই ছোট রাজ্যেই এখন নজর তৃণমূলের। গোয়ার ভোট আগামী কয়েক মাসের মধ্যে। গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ডিসেম্বরের শেষে গিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারাণ সম্পাদকও। আর নতুন বছরের শুরুতেই পাহাড়ি রাজ্য ত্রিপুরা সফরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আজ দুপুর থেকে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর।
২-৩ জানুয়ারি ত্রিপুরায় থাকবেন অভিষেক। এবার তার রাজনৈতিক কর্মসূচী শুধু রাজধানী আগরতলায় সীমাবদ্ধ নয়। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, এ দিন দুপুর সাড়ে ১২টায় আগরতলায় চতুর্দশ মন্দিরে পুজো দেবেন তিনি। সেখান থেকেই দুপুর ১টায় সংবাদ মাধ্যমের উদ্দেশ্যে বিবৃতি দেবেন। বড়মুড়া ইকোলজিক্যাল পার্কে দুপুর পৌনে ২টোয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠনে যোগ দেবেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। দুপুর আড়াইটে নাগাদ তেলিয়ামুড়ার জয়নগর বাজারে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন দলীয় কর্মীর বাড়িতে। সন্ধ্যা ৭টায় আগরতলায় একটি হোটেলে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর।
২০২৩ এর শুরুতেই ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট। এক বছর আগে থেকেই এই ভোটকে পাখির চোখ করেছে বাংলার শাসক দল। আগরতলা পুরভোট দিয়ে যার ওয়ার্ম-আপ শুরু হয়েছে। ফলে দামামা বেজে গিয়েছে ত্রিপুরার ভোটের। তাই সংগঠন ঢেলে সাজাতে মরিয়া তৃণমূল। তাই একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচী গ্রহণ করতে চলেছেন জোড়া-ফুল শিবির। সেই কারণেই অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বৈঠক করবেন দলের দায়িত্ব প্রাপ্তদের সঙ্গে। জনসংযোগ বৃদ্ধি, বিপ্লব দেব সরকারের বিরোধিতা ও বিকল্পের সন্ধান দিয়ে ভোটের আগে ত্রিপুরাবাসীর আস্থা অর্জনই এখন লক্ষ্য তৃণমূলের।
আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, একাধিকবার দলীয় কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা, প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার অভইযোগে আগামী ৫ জানুয়ারি রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছে তৃণমূল। সেনিয়েও দলের নেতাদের সঙ্গে অভিষেকের আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে, অভিষেকের ত্রিপুরা সফর নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, 'ওই রাজ্যে আর কেন যাচ্ছেন অভিষেক? সেখানে আর কিছুই নেই ওদের। মানুষ যে তৃণমূলকে চান না তা ইতিমধ্যেই ভোটের ফলে প্রমাণিত।'
দুয়ারে ভোট। অভিষেকের সফরের পরেই ৪ঠা জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মোদী ত্রিপুরায় যাবেন। ফলে নয়া বছরের শুরুতেই জমজমাট হতে চলেছে ত্রিপুরায় রাজনীতি।