‘রেহাই নেই, চুরি ধরা পড়বে’, বিধস্ত তাজপুর গিয়ে রাজীব-শুভেন্দুকে খোঁচা অভিষেকের

Abhishek Banerjee: সর্বহারা পরিবারগুলোকে অভিষেকের প্রশ্ন, ‘আপনারা ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া করছেন? খাবার পাওয়া যাচ্ছে?’

Abhishek Banerjee: সর্বহারা পরিবারগুলোকে অভিষেকের প্রশ্ন, ‘আপনারা ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া করছেন? খাবার পাওয়া যাচ্ছে?’

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Abhishek Banerjee, Suvendu Adhikari

বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ইয়াস বিধস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন অভিষেক।

ইয়াস তাণ্ডবে কীভাবে এক-দু’বছরের মাথায় বাঁধ ভেঙে গিয়েছে? পর্যালোচনা বৈঠকে সেচ দফতরের দিকে এই প্রশ্ন ছুঁড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার ঘুরিয়ে সেই পথেই হাঁটলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বিজেপিতে যোগদানের আগে সেচ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, এদিন ইয়াস বিধস্ত তাজপুর পরিদর্শনে যান অভিষেক।

Advertisment

সেখানে বাঁধগুলো ভেঙে গিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কায় রাস্তাও প্রায় নেই বললেই চলে।  সেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাতে দাঁড়িয়েই নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের হুঁশিয়ারি দিলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। নাম না করেই তিনি বললেন, ‘মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে যাঁরা নিজের সম্পত্তি বৃদ্ধি করেছে, তাঁদের এক জনকেও রেয়াত করা হবে না। তদন্ত হবে। আমার তো মনে হয়, কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোবে। একটা পরিবারকে বাঁচাতে গোটা জেলার সর্বনাশ করা হল। আমি কথা দিচ্ছি, কেউ রেহাই পাবে না। চুরি ধরা পড়বেই।’

ইয়াস পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক। এর পর বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরেও যান তিনি। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন রামনগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি।

ঝড়ের দাপটে সর্বহারা পরিবারগুলোকে অভিষেকের প্রশ্ন, ‘আপনারা ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া করছেন? খাবার পাওয়া যাচ্ছে?’ স্থানীয়রা দাবি তোলেন, খাবার নয়, আগে বাঁধ ঠিক করতে হবে।

Advertisment

অভিষেক বলেন, ‘হবে। সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন। যাঁরা কাজ করেছিল, তাঁদের দুর্নীতি ধরা হবে। পাশাপাশি নতুন করে কাজ শুরু হবে।’ এর পর স্থানীয়দের দুয়ারে ত্রাণ কর্মসূচির কথাও মনে করিয়ে দেন অভিষেক।

সৈকত বরাবর শঙ্করপুর-তাজপুর রাস্তা তৈরি হয়েছিল কয়েক দিন আগেই। ঝড়ের পর কার্যত সেই রাস্তা আবার আগের বালি-কাঁকরের কাঁচা পথে পরিণত হয়েছে। প্রাথমিক কথা সেরে সে পথে যেতে যেতেই দু’-এক জায়গায় দাঁড়ান অভিষেক। ডেকে নেন স্থানীয় আধিকারিককে। তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘এই বাঁধের দায়িত্বে কোন দফতর? রাস্তাই বা কাদের আওতায়?’ প্রশাসনিক অধিকারিক উত্তর দেন, ‘বাঁধ সেচ দফতরের। আর রাস্তা দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের।’

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের একদা চেয়ারম্যান শিশির অধিকারী।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

abhishek banerjee Suvendu Adhikari Rajib Banerjee Cyclone Yaas