Advertisment

‘দিল্লির পথে TMC সাংসদরা, এবার চোখে চোখ রেখে লড়াই’, সায়নী-কাণ্ডে সরব ডেরেক

Tripura: এদিকে রবিবার সকাল থেকেই ধুন্ধুমার ত্রিপুরায়। এদিন বিকেল নাগাদ গ্রেফতার যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
tmc rajyasabha mp derek-o-brien tests covid positive

তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন

Tripura: এবার চোখে চোখ রেখে লড়াই। ত্রিপুরায় তৃণমূল যুব নেত্রী সায়নী ঘোষের গ্রেফতারির প্রতিবাদে এই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন ডেরেক ও ব্রায়েন। দলের রাজ্যসভার সাংসদ ট্যুইটে লেখেন, ‘সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস এই ফ্যাসিস্টসুলভ নৃশংসতা মেনে নেবে না। আমাদের দলের সাংসদরা দিল্লির পথে। এবার চোখে চোখ রেখে লড়াই।‘  

Advertisment

এদিকে রবিবার সকাল থেকেই ধুন্ধুমার ত্রিপুরায়। এদিন বিকেল নাগাদ গ্রেফতার যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। খুনের চেষ্টার অভিযোগে সায়নীকে গ্রেফতার করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। তার আগে থানায় তলব করে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এই অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদকে। যদিও ‘ভিত্তিহীন অভিযোগে গ্রেফতার সায়নী, বিজেপির নির্দেশে কাজ করছে পুলিশ। অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে সায়নীকে।’ এই অভিযোগে সরব কুণাল ঘোষ। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, সায়নীকে গ্রেফতার করতেই ত্রিপুরায় যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আক্রান্ত কর্মী-সমর্থকদের পাশে দাঁড়াতে একদিন আগেই ত্রিপুরায় যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সূচি মেনে আগামিকাল আগরতলায় তাঁর কর্মসূচি ছিল।

উল্লেখ্য, রবিবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ-সহ বেশ কয়েকজন নেত্রীকে আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় ডেকে পাঠানো হয়। তারপরই শুরু হয় উত্তেজনা।

অভিযোগ, বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা থানায় ঢুকে তাঁদের উপর হামলা চালায়। তৃণমূলের দাবি, ‘থানার বাইরে লাঠি হাতে, হেলমেট পরে দাঁড়িয়ে ছিল বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। সায়নী এদিন থানায় ঢুকতেই হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।‘ তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।

এর আগে আজ সকালে আগরতলার একটি হোটেলে হানা দেয় পুলিশ। সায়নীকে থানায় নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দেন কুণাল ঘোষ। সায়নীকে থানায় নিয়ে যাওয়ার নোটিস দেখতে চান কুণাল। পুলিশের সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কি হয় কুণাল ঘোষের। পুলিশের অভিযোগ, ‘মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সভা চলাকালীন বিজেপি সমর্থকদের উত্যক্ত করেন সায়নী।‘ যদিও পুলিশের সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে পাল্টা দাবি করেছেন সায়নী ঘোষ-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। শেষমেশ গ্রেফতারকরা হয়েছে সায়নী ঘোষকে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tmc Sayani Ghosh
Advertisment