রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হল তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনকে। সম্পূর্ণ বাদল অধিবেশন থেকেই তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতাকে সাসপেন্ড করেছেন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়। মণিপুর ইস্যুতে এদিন অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা ছিল বিরোধী দলগুলির। সভা শুরুতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যসভা।। চেয়ারম্যানের সঙ্গে প্রবল তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন। তারপরেই চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড় তাঁকে সাসপেন্ড করেন। বেলা ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি রা হয় রাজ্যসভার অধিবেশন।।
সোমবারও প্রবল কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন ডেরেক ও'ব্রায়েন এবং জগদীপ ধনকড়।রাজসভায় দিল্লি অধ্যাদেশ বিল নিয়ে বিতর্ক চলছিল। তখন ডেরেক ও'ব্রায়েন সেই বিলের বিরোধিতায় বক্তব্য রাখছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগও তিনি জুড়ে দিয়েছিলেন সেই বক্তব্যে। তাঁকে বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করার জন্য অনুরোধ করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। তাতে কর্ণপাত করেননি ডেরেক, উল্টে নিজের বক্তব্য চালিয়ে যান তিনি। ডেরেক বলেছিলেন, 'উনি নিজেকে গণতন্ত্রের সন্তান বলে দাবি করেন, তাহলে গণতন্ত্র খর্ব করতে চাইছেন কেন? গণতন্ত্রের সন্তান কেন সংসদে এসে নিশ্চিত করান যাতে দুই-তৃতীয়াংশ বিলই অগণতান্ত্রিক পদ্ধতি পাশ করানো যায়?' রাজ্যে মহিলাদের উপর হিংসা এবং ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল পাঠানো, সংসদে উচ্চ শিক্ষার জন্য ৪০ হাজার কোটি অর্থ বরাদ্দ করে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে মাত্র ৭০০ কোটি টাকা দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ।
আরও পড়ুন- অনাস্থা প্রস্তাব ঘিরে সংসদে বিরাট শো-ডাউন, আজ মোদী-রাহুল ডুয়েল দেখবে লোকসভা
এরপরে ডেরেক যাতে অধ্যদেশ বিল নিয়েই নিজের বক্তব্য সীমাবদ্ধ করেন, তাঁকে সেটি স্মরণ করিয়ে দেন চেয়ারম্যান ধনকড়। পাল্টা ডেরেক বলেছিলেন 'এটা রাজনৈতিক কক্ষ, আমরা রাজনৈতিক বিষয় তুলে ধরবই।' এতেই রেগে যান উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনকড়। ধমকের সুরে তিনি বলেন, 'এটা আপনার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আপনি কি এখানে নাটক করতে এসেছেন?'
সোমবারের পর মঙ্গলবারও অধিবেশনের শুরুতেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি হয়। ধনকড়ের সঙ্গে তুমুল বিতণ্ডায় জড়ান ডেরেক। তারপরেই অসংসদীয় আচরণের অভিযোগে তৃণমূল সাংসদকে বাদল অধিবেশনের অবশিষ্ট সময়ের জন্য সাসপেন্ড করে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান।