ফেসবুককে ঘিরে ক্রমশ সরগরম হয়ে উঠছে জাতীয় রাজনীতি। কংগ্রেস, বিজেপির পর এবার মার্ক জুকারবার্গকে চিঠি দিল তৃণমূল। বিজেপির প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে বলে ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগে কংগ্রেসের পর এবার সরব হল মমতার দলও। এই অভিযোগের প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করে ফেসবুক সিইও-কে চিঠি দিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন।
চিঠিতে জুকারবার্গের সঙ্গে তাঁর আগের সাক্ষাতে যে আলোচনা হয়েছিল, সেই প্রসঙ্গ টেনেছেন ডেরেক। সূত্রের খবর, দিল্লিতে ২০১৫ সালের অক্টোবরে জুকারবার্গের সঙ্গে দেখা করেছিলেন ডেরেক।
চিঠি প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে ডেরেক বলেছেন, ''আমরা, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস, ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দল। ভারতে ২০১৪ ও ২০-১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনের সময় ফেসবুকের ভূমিকা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি''।
উল্লেখ্য়, কিছুদিন আগে, দ্য় ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ভারতে নিজেরে ব্য়বসা যাতে ধাক্কা না খায়, সেজন্য় শাসকদলের নেতাদের করা বিদ্বেষমূলক পোস্টের বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নিতে কর্মীদের বারণ করেছেন ফেসবুক ইন্ডিয়ার পদাধিকারী আঁখি দাস। এ খবর প্রকাশ্য়ে আসতেই সোচ্চার হয় কংগ্রেস। বিজেপির প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে ফেসবুককে দু'বার চিঠি পাঠিয়েছে কংগ্রেস।
এই বিতর্ক কার্যত জল-হাওয়া পায় আরও একটি তথ্য়। জানা যায়, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে সমালোচনাকারী ৪৪টি পেজের নাম প্রকাশ করে বিজেপি। যার মধ্য়ে ১৪টি পেজ সরিয়ে নেওয়া হয়। বিজেপির প্রচারে সহায়ক ১৭টি পেজ ফিরে আসে ফেসবুকে।
এ অভিযোগের পরই ফেসবুককে পাল্টা আক্রমণ করে জুকারবার্গকে চিঠি দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ। দক্ষিণপন্থী মনোভাবের মানুষদের পেজ সরানো হয়েছে এবং তাঁদের রিচ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে ফেসবুকের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন রবিশংকর।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন