Advertisment

রাজ্যের মন্ত্রীর বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া তৃণমূল সাংসদের, 'আগামী দিন বলবে কে মীরজাফর'

নন্দীগ্রাম দিবসে তিনটে পৃথক স্মরণসভা আয়োজনের মধ্যেই বিতর্ক থেমে থাকল না।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

নন্দীগ্রাম দিবসে তিনটে পৃথক স্মরণসভা আয়োজনের মধ্যেই বিতর্ক থেমে থাকল না। বক্তারা অনেকেই নাম না করে একে অপরের বিরুদ্ধে নানা মন্ত্বব্য করে গিয়েছেন। রাজ্যের পুরমন্ত্রী নন্দীগ্রামের হাজরাকাটায় তাঁর বক্তব্যে মীরজাফরের কথা বলেছেন। পাল্টা তাঁর বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। দিব্যেন্দুর দাবি, ভবিষ্যৎ দেখতে পাবে মীরজাফর কে। শহিদ স্মরণে তৃণমূল আয়োজিত সভায় তাঁকে ডাকা হয়নি বলেও পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন দিব্যেন্দু।

Advertisment

নন্দীগ্রাম দিবস পালন করতে গিয়ে কার্যত তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিভাজন অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ২০১১-এ বাংলার মসনদে ঘাসফুলের বসার পিছনে নন্দীগ্রামের আন্দোলনের ভূমিকা স্বীকার করতে বাধ্য আপামর নেতৃত্ব। মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে তিনটে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তেখালির সভায় স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ছিলেন। ছিলেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী সহ অন্যরা। হাজরাকাটার দলীয় আয়োজনে সভায় ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পুর্নেন্দু বসুরা। ছিলেন না স্থানীয় সাংসদ, বিধায়ক দুজনই। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে মীরজাফরেরর কথা তুলে ধরেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, "মীরজাফর ছিল। তখনও ছিল, আজকেও আছে। বিশ্বাস মানুষকে করতে হবে। বিশ্বাসের মধ্যে দিয়েই আমাদের যেতে হবে।" যদিও কারও নাম করে মীরজাফরের প্রসঙ্গ টানেননি পুরমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে কাকে মীরজাফর বলতে চেয়েছেন ফিরহাদ?

আরও পড়ুন- নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গে শুভেন্দু-তৃণমূলের বিভাজন উস্কালেন মুকুল

এদিকে কাকে বা কেন ফিরহাদ মীরজাফর বললেন তা নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়ে যায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বে। শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী এই প্রসঙ্গে বলেন, "আমি বলব মীরজাফরের তকমা টেনে কাউকে বিশেষিত করা যাবে না। তিনি হয়ত বলেছেন ব্যক্তিগত ভাবে। তবে আমরা ইতিহাসে মীরজাফরকে দেখেছি। বর্তমানে কে মীরজাফর তা আগামী দিনে মানুষ বলে দিবে। ইতিহাস বলবে মীরজাফর কে।"

এদিকে নন্দীগ্রামে তৃণমূল আয়োজিত হাজরাকাটার সভায় আমন্ত্রণ পাননি তমলুকের সাংসদ। কারা সেই সভায় আসছেন তা-ও জানতেন না বলে দাবি করেছেন দিব্যেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, "আমি তো এখানকার সাংসদ। ওই সভার কথা আমিও জানি না। আমার কাছে কোনও খবর ছিল না। আমি সকাল থেকে এখানে আছি। সভায় মন্ত্রী বা সাংসদ কারা আসছেন তাও আমি জানতাম না। আমাকে ডাকলে নিশ্চয়ই যেতাম।" তবে এদিনের রাজনৈতিক স্মরণসভা নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, "এই সভার কী প্রভাব পড়বে নন্দীগ্রামে তা দলকে জানাব।"

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tmc Suvendu Adhikari
Advertisment