রবিবার বাংলায় নরেন্দ্র মোদীর সভা নিয়ে চাপা উত্তেজনা ছিলই। একুশের নির্বাচনের প্রাক্কালে বাংলার বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের কী বার্তা দেন নমো সেদিকে লক্ষ্য ছিল সকলের। তবে পাশাপাশি হলদিয়ার সরকারি অনুষ্ঠানে শুভেন্দু-ভ্রাতা দিব্যেন্দুর উপস্থিতি কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
এদিন নরেন্দ্র মোদী হলদিয়ায় পৌঁছনোর অনেক আগেই সরকারি অনুষ্ঠান স্থলে পৌঁছে যান তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। স্থানীয় সাংসদ হিসেবে তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। তিনি অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। সেটাই হল রবিবার। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী যখন একের পর এক প্রকল্পের ঘোষণা করছেন, মঞ্চে বসেই হাততালি দিতে দেখা যায় দিব্যেন্দুকে।
আরও পড়ুন, “পিসি-ভাইপোকে হটিয়ে দেওয়ার লক্ষ্য বাংলার মানুষ নিয়ে নিয়েছে”
প্রসঙ্গত এদিনের হলদিয়া পেট্রোকেমিকেলের 'সরকারি' অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান হয়েছিল রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী, ঘাটালের সাংসদ দেবকেও। তবে মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন না বলে আগেই জানান হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে দিব্যেন্দু বলেন, "এটি মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি কিছু বলতে পারব না।" এই অনুষ্ঠানে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অনুপস্থিত ছিলেন শিশির অধিকারীও।
এই মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "হলদিয়া আত্মনির্ভর ভারতের কেন্দ্র হিসেবে উঠে আসবে। বাংলায় আগে ৪১ শতাংশ ঘরে গ্যাসের সংযোগ ছিল, এখন ৯৯ শতাংশ ঘরে গ্যাস সংযোগ রয়েছে। নতুন প্রকল্পে হলদিয়ার চিত্র বদলে যাবে। আমদানি রফতানির ক্ষেত্রে গুরুত্ব বাড়বে হলদিয়ার। ধোবি-দুর্গাপুর প্রাকৃতিক গ্যাসলাইনের উদ্বোধন করবেন তিনি।হলদিয়ার রানিচকে একটি রেল ওভারব্রিজের উদ্বোধন করার কথা মোদীর। রাজ্যে এই প্রথম জিএআইএল-এর প্রাকৃতিক গ্যাস। ঝাড়খন্ড থেকে দুর্গাপুর পর্যন্ত পাইপলাইন। আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে আজ বড় ধাপ দেশের।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন