ত্রিপুরায় দুই মহিলা তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন ও অপরূপা পোদ্দারের উপর পর পর হামলার অভিযোগ। কাঠগড়ায় বিজেপি। এই হামলার সময় পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল বলে দাবি তাঁদের। দোলা সেনকে বাঁচাতে গিয়ে পাথরের আঘাতে মাথা ফাটে তাঁর ব্যক্তিগত সচিবের। ঘটনায় জেরে চরম আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয় থাইরুম এলাকায়। প্রাণে বাঁচতে কোনও মতে দুই সাংসদের কনভয়ে জঙ্গলে ঢুকে পড়ে।
পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় সাংসদদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ সংযোগ করা যাচ্ছিল না। ঘটনার প্রায় আধ ঘন্টা পরে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে আক্রান্ত তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন বলেন, "বেঁছে আছি সেটাই আশ্চর্যের। স্বাধীনতা দিবসে ত্রিপুরার মোদীজির আমলে কেমন স্বাধীনতা তা দেখছি। গণতন্ত্রের ভয়াবহ পরিস্থিতি। স্থানীয় নেতারা সব মার খেয়েছেন। আমি ও অপরূপা আক্রান্ত। বাংলার মানুষের মত ত্রিপুরা, গুজরাট সহ ভারতের মানুষকে বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।"
পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন দোলা সেন। তাঁর কথায়, "সাংসদদের উপর হামলা হচ্ছে, আর পুলিশ তা নীরব দর্শকের মত দেখলো। পুলিশের হাতে অস্ত্র থাকলেও একবারও আটকাতে যায়নি। ওরা উদ্যোগী হলে এই ঘটনা ঠেকানো যেত। ১০টা ছেলেকে আটকাতে পারতো।"
আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় তৃণমূলের ২ মহিলা সাংসদের গাড়িতে হামলা, ‘নাটক’- দাবি বিজেপির
বিজেপির দাবি, তৃণমূল ত্রিপুরাকে আশন্ত করছে। এদিন তাঁর উপর হামলার পরে পদ্ম শিবিরকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাংসদ দোলা সেন। তিনি বলেন, "এই ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে কিছুতেই রোখা যাবে না। ৭৫তম স্বাধীনতার দিন দেশ দেখলো ত্রিপুরার কী অবস্থা। গোটা দেশটাকে এরা বিক্রি করে দিয়েছে। গণতন্ত্র বিপন্ন।"
এদিন সাতদুড়ুম থেকে দলীয় কর্মসূচি সেরে আগরতলায় ফেরার পথে থাইরুমে পর পর দু'বার হামলার মুখে পড়েন তৃণমূলের দুই সাংসদ। অভিযোগ, বিজেপি দুষ্কৃতীরা পুলিশের সামনে দোলা সেনা ও অপরূপা পোদ্দারের গাড়িতে হামলা চালায়। রড, বাঁশ, সাইকেল ছুঁড়ে গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দোলা সেনকে বাঁচাতে গিয়ে পাথরের আঘাতে মাথা ফেটেছে তাঁর ব্যক্তিগত সচিব জাকিরের। অপরূপা পোদ্দাদের ব্যাগ ও প্রয়োজনীয় নথি ছিনতাই করা হয়েছে।
গোটা ঘটনাকে 'তৃণমূলের জঙ্গলের নাটক' বলে দাবি করেছে বিজেপি। ত্রিপুরায় আশন্তি ছড়াতেই জোড়া-ফুল শিবির বাংলা থেকে গিয়ে এই কাজ করছে বলে অভিযোগ পদ্ম বাহিনীর।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন