বিশ্বভারতীতে নিমন্ত্রণ ইস্যু থেকে আইপিএস ডেপুটেশন, অমর্ত্য সেনের বাড়ির সীমানা বিতর্ক- ভোটের আগে ফের কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্ব তীব্র। তার মধ্যেই শুক্রবার কেন্দ্রীয় কৃষক কল্যাণ প্রকল্প বাংলা চালু না করা নিয়ে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বাংলার কৃষকদের তৃণমূল সরকার রাজনৈতিক কারণে বঞ্চিত করছেন বলেও অভিযোগ তাঁর। যার বিরুদ্ধে সরব জোড়া-ফুল শিবির। বিজেপিকে 'দুষ্কৃতী'র দল বলে এবার নাম না করেই প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করলেন সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার। তিনি বলেন, 'মিথ্যেবাদী। লম্বা দাড়ি রেখে হলুদ জামা পরলেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ হওয়া যায় না।'
শনিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক মুখোমুখি হয়ে দিল্লিতে আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। একই সঙ্গে বাংলার উন্নয়নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে বলে দাবি করেন। বারাসতের তৃণমূল সাংসদের কথায়, 'যেভাবে বাংলার মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন তাতে মানুষ অত্যন্ত আনন্দিত এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রশংসনীয় কাজ করছে বলে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।'
যদিও বিরোধীদের অভিযোগ উন্নয়নের যে পরিসংখ্যান রাজ্যের তরফে দেওয়া হচ্ছে তা আদতে 'ভুয়ো'। এই প্রসঙ্গেই বিজেপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হন কাকলিদেবী। বলেন, 'মিথ্যাবাদী বিজেপি নেতারা দেশটাকে হার্মাদ বাহিনীর আস্তানা হিসাবে তৈরি করেছেন। উত্তর প্রদেশের আইন শৃঙ্খলা দেখলেই তা বোঝা যায়।'
বঙ্গে আইন শৃঙ্খলা নেই বলে বিজেপির যে দাবি তা নস্যাৎ করে এ দিন তৃণমূল সাংসদ বলেন, 'সংসদীয় কমিটির কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের উপর অপরাধের হার সবচেয়ে কম। দোষীরা দ্রুত শাস্তি পায়।' পরিসংখ্যান দিয়ে রাজ্য়ে মহিলা থানা, ফার্স্ট ট্যাক কোর্টের কথা বলেন সাংসদ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন