অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর সুরেই গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণের বিরুদ্ধে মোদী সরকারের কড়া নিন্দায় সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের তরফে সাংসদ মহুয়া মৈত্র অভিযোগ করেছেন, ভারতে 'গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ চলছে। কোনও বিরোধী নেতাকে সংসদে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না।'
তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় মহুয়া মৈত্র অভিযোগ করেন, 'গত তিন দিন ধরে দেখলাম, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা কেবল বিজেপির মন্ত্রীদেরই বলতে দিচ্ছেন। আর সংসদ মুলতুবি করে দিচ্ছেন। একজন বিরোধী নেতা-নেত্রীকেও বলতে দেওয়া হয়নি। গণতন্ত্র আক্রমণের মুখে। আর, স্পিকার সেই আক্রমণের ওপর সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই টুইটের জন্য আমাকে জেলে নিয়ে যাওয়া হলে, আমি জেলেও যেতে রাজি।'
মহুয়া মৈত্রের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর চিঠিতে। স্পিকার ওম বিড়লার উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে একই অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতাও। তিনি জানিয়েছেন, গত তিন দিন ধরে সংসদে বিরোধীদের বলতে দেওয়া হয়নি।
তার মধ্যেই বুধবার বিজেপি সরকার কংগ্রেসকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে। লন্ডনে বক্তব্য রাখার জন্য সাংসদ রাহুল গান্ধীর ক্ষমা চাইতে হবে বলে বিজেপি দাবি জানিয়েছে। স্পিকারকে লেখা অভিযোগপত্রে অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, গত তিন দিন ধরে বিরোধীদের আসনের সামনে রাখা মাইক্রোফোনগুলো কাজ করেনি।
আরও পড়ুন- ভারতে নিযুক্ত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত, কে এই এরিক গারসেটি?
চিঠিতে অধীর জানিয়েছেন, তিনি গভীর দুঃখের সঙ্গে এই চিঠি লিখছেন। তাঁর অভিযোগ, সরকারি মদতে সংসদের কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটানো হচ্ছে। আর, ১৩ মার্চ সংসদ নতুন করে চালু হওয়ার পর থেকেই এমনটা চলছে। যা তিনি তিনি গভীরভাবে ব্যথিত। এসব দেখে অধীরের ধারণা, শাসক দল বিরোধী দলের এক স্বতন্ত্র সদস্যের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করছে।
অধীর চৌধুরী আরও বলেন, 'আমার কাছে আরও বিরক্তিকর বিষয় হল, মন্ত্রীরাও সোচ্চার হয়ে সংসদের কার্যধারাকে বাধা দিতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিরোধী দলের নেতাদের কণ্ঠস্বর একেবারেই শোনা যাচ্ছে না।' এই পরিস্থিতিতে সংসদে নিঃশব্দ মাইক্রোফোনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছে কংগ্রেস। একইসঙ্গে অভিযোগ করেছে, এই নিঃশব্দ মাইক্রোফোনই প্রমাণ করছে যে রাহুল গান্ধীর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।