সুরটা বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি নবান্নে রাজ্যপালকে আদ্যোপান্ত দুর্নীতিপরায়ণ বলে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। আর তারপর থেকেই সুপ্রিমোর দেখানো পথেই হাঁটছে তৃণমূল কংগ্রেস। জৈন-হাওয়ালা কেলেঙ্কারিতে এক ডায়রির সুত্র ধরে জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বাংলার শাসক দল। বৃহস্পতিবার সেই সুর আরও জোরাল করলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়।
এবার দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে রাজ ভবনের যোগসুত্র বের করে আক্রমণ করলেন তিনি। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে একটি ছবি প্রকাশ করে এই তৃণমূল সাংসদ প্রশ্ন করেন, ‘দেবাঞ্জনের দেহরক্ষী রাজভবনে কী করছিল?’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘প্রতারক দেবাঞ্জনের দেহরক্ষীর মাধ্যমেই রাজ ভবনের কয়েকজনের কাছে উপহার যেত। রাজ্যপালের সঙ্গে প্রতারকের দেহরক্ষীর যোগ থাকলে তা দেশের পক্ষে ভয়ঙ্কর। ঘনিষ্ঠতার গুরুত্ব আপনারা বুঝতেই পারছেন।‘
তদন্তকারীদের নজরে বিষয়টি আনছি, আসল তথ্য সামনে আসুক। এদিন এভাবেও সুর চড়ান তৃণমূল সাংসদ। বুধবার ছবি তোলা নিয়ে নবান্নে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, ‘প্রতারকরা ছবি তুলে রাখার চেষ্টা করেন। আমাকে ছবি তোলার কথা বললে আমি না করে দিই। প্লেনেও একবার এমন হয়েছিল। দূর থেকে জুম করে ছবি তুলছিল।‘ এই মন্তব্যের পরের দিন রাজ ভবনে দেবাঞ্জনের দেহরক্ষীর ছবি প্রকাশ্যে আনল তাঁর দল তৃণমূল।
এদিকে, বৃহস্পতিবার জৈন-হাওয়ালাকাণ্ড নিয়েও রাজ্যপালকে নিশানা করেন সুখেন্দুশেখর। তাঁর প্রশ্ন, ‘তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠকের দিন মারা গেলেন জৈন হাওয়ালা কাণ্ডের মাথা। এই ঘটনা কাকতালীয় কি?জৈন হাওয়ালা নিয়ে ৪৮ ঘণ্টা পরেও কেন চুপ রাজ্যপাল?’
সুখেন্দু শেখরের আরও দাবি, ‘জৈন হাওয়ালা ডায়রিতে রয়েছে এক জগদীপ ধনকড়ের নাম। তিনি চারটি ইনস্টলমেন্টে টাকা নিয়েছিলন। ডায়রিতে নাম থাকা এই জগদীপ ধনকড় কে?’ এখানেই শেষ নয়। এই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোথাও জমি কেলেঙ্কারি, কোথাও জৈন হাওয়ালা কেলেঙ্কারিতে নাম। এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে এই বিষয়ে তদন্ত করা উচিত। এদিন সরব হয়েছেন সুখেন্দু শেখর রায়। অবিলম্বে এই রাজ্যপালকে বরখাস্তের দাবি জানিয়ে তৃণমূলের মন্তব্য, ‘এই বিষয়ে রাষ্ট্রপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ট্যুইটের পরেও চুপ রাজ্যপাল!’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন