বিজেপিকে প্যাঁচে ফেলতে এবার আসরে তৃণমূল। গেরুয়া দলের বিরুদ্ধে এবার পাহাড়-প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আনল তৃণমূল। অতিমারীর কালে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগে সরব গেরুয়া দল। অসমের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে এরাজ্যের শাসকদল।
করোনা অতিমারীর সময়ে বাজারদরের চেয়ে বহুগুণ বেশি দামে কেনা হয়েছে পিপিই কিট, 'তথ্য-প্রমাণ' তুলে ধরে অসমের তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে তুলোধনা তৃণমূলের। শুধু মুখ্যমন্ত্রীই নন, কোটি-কোটি টাকার এই দুর্নীতিতে হিমন্ত বিশ্বশর্মার স্ত্রী, পুত্র ও ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রাও জড়িত বলে অভিযোগ জোড়াফুলের।
শুক্রবার অসমের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছে তৃণমূল। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে হিমন্ত বিশ্বশর্মা নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ প্রকাশ্যে এনেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। অতিমারীর সময়ে পিপিই কিট কেনা নিয়ে অসমে বিরাট দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
সুখেন্দুশেখর রায়ের অভিযোগ, ''মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সংস্থার কাছ থেকে চড়া দামে পিপিই কিট কেনা হয়েছে। বিশ্বশর্মা পরিবারের বিজনেস পার্টনার ধানুকা ও জেসিবি ইন্ডাস্ট্রিজ (যে সংস্থার মালিক মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়)-এর কাছ থেকে চড়া দামে পিপিই কিট কেনা হয়েছে।'' তৃণমূল সাংসদের আরও দাবি, আরটিআই করে জানা গিয়েছে ৬০০-৭০০ টাকার পিপিই কিট ২২০০ টাকায় কিনেছে অসম সরকার। যে সংস্থাগুলির নাম করে এই অনিয়ম হয়েছে সেগুলির অংশীদার হিসেবে হিমন্ত বিশ্বশর্মার স্ত্রী ও পুত্রের নাম রয়েছে বলে দাবি তৃণমূল নেতার।
অসমের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়েছে তৃণমূল। শীর্ষ আদালতের নজরদারিতে সিট গঠন করে এই দুর্নীতির তদন্তের দাবি তুলেছে জোড়াফুল। এমনকী এই দুর্নীতিতে কলকাতারও কয়েকটি সংস্থার নাম উঠে এসেছে বলে দাবি করেছেন সাংসদ। যদিও সেই সংস্থাগুলির আদতে কোনও অস্তিত্ব নেই বলেই দাবি তৃণমূল নেতার।
আরও পড়ুন- অর্জুনের পর লাইনে কে? রাজ্যের ঢালাও প্রশংসায় চর্চায় BJP-র তারকা বিধায়ক
এসএসসি-তে নিয়োগের ক্ষেত্রে এরাজ্যেও শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষা না দিয়েই শ'য়ে-শ'য়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূলের মদতেই শিক্ষাক্ষেত্রে সীমাহীন এই দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। এবার এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েই পাল্টা পদ্ম শিবিরকে বিঁধে ময়দানে ঘাসফুল। কল্যাণীর এইমসে বিজেপির সাংসদ, বিধায়কদের সুপারিশে চাকরি হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।