I-PAAC at Tripura: বুধবার আগরতলায় ব্রাত্য বসু প্রশ্ন তুলেছিলেন আইপ্যাকের মাথায় প্রশান্ত কিশোর বসে, তাই কি এই আচরণ? সেই আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা পৌঁছলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এদিন সকালে আগরতলা নেমেই ডেরেকের গলায় ‘এবার খেলা হবে’ স্লোগান। উল্লেখ্য, গত রবিবার থেকে পূর্ব আগরতলার একটি হোটেলে ‘বন্দি’ আইপ্যাকের কর্মীরা। করোনাবিধি লঙ্ঘন করে ঘোরার দায়ে তাঁদের তলব করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। সেই হোটেলের ভিতর এবং বাইরে সশস্ত্র পুলিশ। আর এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে ত্রিপুরার রাজনীতিতে জাঁকিয়ে বসতে চায় তৃণমূল।
বুধবার সেই কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে ত্রিপুরা পৌঁছন ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার আরও দুই তৃণমূল সাংসদকে আগরতলায় পাঠাল ঘাসফুল শিবির। এদিন আগরতলা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের ডেরেক বলেন, ‘শুক্রবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় আসবেন। গোটা দেশেই মোদি-শাহ গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে। এ রাজ্যে ম্যাচ এখনও শুরুই হয়নি। তার আগেই কাঁপছে।‘
জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরের বিমানে দিল্লি থেকে ত্রিপুরা রওনা হবেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে বুধবার বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় গিয়ে গেরুয়া শাসনকেই তুলোধনা করলেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে ‘অগণতান্ত্রিক-ফ্যাসিবাদী’ সরকার চলছে বলে তোপ ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিকে ত্রিপুরায় আইপ্যাক কর্মীদের আটকে রাখার ঘটনাকে যখন বিজেপি বিরোধী আন্দোলনের হাতিয়ার করতে মরিয়া জোড়া-ফুল শিবির তখন মহামারি আইনে সংস্থার ২৩ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পূর্ব আগরতলা থানার পুলিশ। কোভিডবিধি ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে ওই ২৩ জনের বিরুদ্ধে। ১লা অগাস্ট অভিযুক্তদের থানায় তলব করা হয়েছে।
অপরদিকে, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এদিন বলেন, ‘করোনা রিপোর্ট নেগেটিভের পরও যেভাবে আইপ্যাকের প্রতিনিধিদের আটকে রাখা হয়েছে তাতে স্পষ্ট ত্রিপুরায় ‘স্বৈরাচারী-অগণতান্ত্রিক’ শাসন চলছে। এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস উদ্বিগ্ন। হয়তো আইপ্যাকের কর্ণধার পিকে বলেই এই ধরণের হেনস্থা করছে বিজেপি সরকার।’ আগরতলায় সাংবাদিক বৈঠকে বুধবার ব্রাত্য বসুর দাবি, ‘বিজেপি সরকার ভয় পেয়েছে। এ রাজ্যের মানুষ ওদের পাশে নেই তা বুঝতে পেরেছে। ত্রিপুরা থেকে কংগ্রেস প্রায় অবলুপ্ত, বামেরাও ক্ষয়িষ্ণু। বাংলার মতো ত্রিপুরাতাও এবার বিজেপির সঙ্গে সম্মুখ সমরে তৃণমূল। ক্রমেই এ রাজ্যে তৃণমলের সংগঠন শক্তিশালী হচ্ছে। সেই ভয় থেকেই পিকের সংস্থার কর্মীদের আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন