বাজেট অধিবেশনের শেষদিনে সংসদে ধরা পড়ল বিরোধী ঐক্যের ছবি। তৃণমূলের বিক্ষোভে হাজির হলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এদিন সংসদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদরা। কালো পোশাক পরে তৃণমূল সাংসদরা মোদীর বিরুদ্ধে সুর চড়ান সংসদে। একইসঙ্গে স্লোগান দেন ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’। তৃণমূল সাংসদদের বিক্ষোভে যোগ দিয়ে এদিন কার্যত পাশে থাকার বার্তা দিলেন রাহুল। উল্লেখ্য, আজই দিল্লিতে বিরোধীদের ধর্না কর্মসূচি রয়েছে।
‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগান আদপে রাহুল গান্ধীরই। এদিন যেভাবে মোদীকে আক্রমণ শানাতে রাগার স্লোগান আওড়েছেন তৃণমূল সাংসদরা, তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মোদী সরকারের এক্সপায়ারি ডেট পেরিয়ে গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই স্লোগানকে সামনে রেখে এদিন ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভে শামিল হন তৃণমূল সাংসদরা। এদিন সংসদ চত্বরে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘‘দেশকে বাঁচাতে হলে মোদীকে হঠাতেই হবে।’’
আরও পড়ুন, দিল্লিতে মমতা, ফের ধর্না
অন্যদিকে, রাফাল ইস্যুতে এদিন সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেসও। দলের বিক্ষোভে যোগ দেন রাহুল গান্ধী।
এদিকে, আজই রাজধানীতে বিরোধীদের ধর্না কর্মসূচিতে যোগ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সন্ধেতেই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। এদিন দুপুর ২টো নাগাদ যন্তর মন্তরে ধর্না কর্মসূচি রয়েছে বিরোধীদের। এদিনের ধর্না মঞ্চ থেকে মোদীর বিরুদ্ধে মমতা আরও সুর চড়াতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিজেপি বিরোধী নেতাদের মধ্যে মমতার ধর্না কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এছাড়াও কংগ্রেস, এনসিপি, টিডিপি, ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, বসপার প্রতিনিধিরাও যোগ দিতে পারেন ধর্না মঞ্চে। প্রসঙ্গত, দিল্লিতে এদিনের ধর্না মঞ্চে ১৯ জানুয়ারির ব্রিগেড সভার পর বিজেপি বিরোধী ঐক্যের ছবি ফের ধরা পড়তে পারে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।