লুইজিনহো ফেলেইরোকে রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে তৃণমূল। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে টুইটে শনিবার এই ঘোষণা করা হয়েছে। টুইটে লেখা হয়েছে, 'লুইজিনহো ফেলেইরোকে সংসদের উচ্চকক্ষে মনোনিত করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। দেশকে সেবা করার তাঁর প্রচেষ্টা জনগণের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হবে বলে আমরা আত্মবিশ্বাসী।'
চলতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর হঠাই তৃণমূলের অর্পিতা ঘোষ রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন। সংগঠনে সময় দেবেন বলেই তাঁর ইস্তফা বলে জানিয়েছিলেন অর্পিতা। এর পর থেকেই রাজ্যসভায় বাংলার ওই আসনটি ফাঁকা রয়েছে। ইতিমধ্যেই কমিশন জানিয়েছে যে আগামী ২৯ নভেম্বর রাজ্যসভার ওই আসনে ভোট হবে।
এরপর থেকে জল্পনা চলছিল যে ফাঁকা আসনে কাকে প্রার্থী করতে পারে ঘাস-ফুল শিবির। শেষ পর্যন্ত গোয়াকে পাখির চোখ করে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া ওই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরোকেই বেছে নিল বাংলার শাসক দল।
২০২৬ সালের ২ এপ্রিল পর্যন্ত লুইজিনহো ফেলেইরো রাজ্যসভার সাংসদ পদে কাজ করতে পারবেন।
তৃণমূলের বঙ্গজয়ের হ্যাটট্রিক সম্পন্ন। বাংলায় তৃতীয়বার বিপুল জয়ের পরই ভিন রাজ্য জয়ে মনোনিবেশ করেছে ঘাস-ফুল ব্রিগেড। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে দলের তরুণ মুখ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মনোনিত করা হয়েছে। নতুন দায়িত্ব পেয়েই ত্রিপুরা থেকে অভিযান শুরু করেছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। সেরাজ্যে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে তৃণমূলের পুরভাগে অভিষেকই। একাধিক নেতৃত্ব অন্য দল থেকে ঘাস-ফুলে যোগ দিয়েছেন।
অন্যদিকে, আরব সাগরের তীরে সৈকত রাজ্য গোয়াকেও পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। পিকের রাজনৈতিক জমি জরিপের কাজ শেষ। বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে সংগঠন বিস্তারে এই রাজ্যেও কংগ্রেসকে ভাঙতে মরিয়া তৃণমূল। ইতিমধ্যেই গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি লুইজিনহো ফেলেইরো বাংলার শাসক দলে যোগ দিয়েছেন। তাঁকে সম্মান জানিয়ে দেওয়া হয়েছে দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতির পদও। একানেই শেষ নয়, গোয়াবাসীকে আশ্বস্ত করতে পুজোর পরই সেরাজ্যে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রীও। আগামী বছর মার্চেই সম্ভব গোয়ায় বিধানসভা ভোট হবে। বিজেপিকে ধাক্কা দিতে মরিয়া তৃণমূল। তাই ভোট যুদ্ধে নামার আগে এবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরোকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে গোয়াবাসীকে বার্তা দিতে চাইল তৃণমূল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন